প্রতীক্ষা

জানি দেখা হবে কোন একদিন ধূপছায়া সন্ধ্যায়,
হাতে কদমের বদলে নীল শাপলা শোভিত হবে,
চুড়ি পাওনি বলে চোখ ভরা আক্ষেপ রবে,
অভিমান গলে পড়বে ঈষৎ ফোলা ঠোঁটের কোনায়।
জানি দেখা হবে একদিন অনেক অপূর্ণতা নিয়ে,
দলছুট কচুরিপানার মতো একা ভাসতে ভাসতে,
লাউ ডগার কিশোরী গায়ে রোদের হাসিতে,
হলুদ সাইকেলের ঘন্টিতে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়ে।
দেখা হবেই, অমোঘ নিয়তির টানে শাশ্বত মৃত্যুর মতো,
সময়ের লম্বা রশি বেয়ে অপরাহ্ন, বিকেল অথবা সন্ধ্যায়,
রংচটা জুতো জোড়া আর কম দামী জিন্সের মায়ায়,
জীবনের চুড়ান্ত হিসেবে মিটে যাক দায় যতো।
তোমার আমার সম্পর্কের যতটুকু ছিল ঋণ,
অভিযোগ- অনুযোগ, পাওয়া না পাওয়ার খাতায়,
মিটাতে চেয়ে হাতা বাড়াইনি আমি, তুমিও ছিলে অনীহায়,
এভাবেই কেটে যায় আমাদের একা থাকার দিন।
পরিচিত ডাকে ঘরছাড়া তুমি,বাড়ি ফেরার তাড়া নেই,
পিলসুজ জ্বেলে উপেক্ষিতা রক্তজবা চোখে,
কাজলটুকু লেপ্টে ছিল কাঠগোলাপের শোকে,
দেখা হবে তো এই পৃথিবীর প্রয়োজনের আয়োজনেই।