রুটিটা ছেঁকে দাওনা গো।
আজকে একটু আরাম করে খেতে মন চাইছে।
জানি, লাখ টাকার আয় তোমার,
অবসর পাওনা সহজে,
“নীরবালার” আয়টুকু উপহাসের বিষয় ছিল,
ছেড়েই দিলাম চাকরিটা।
সংসার ঠেলতে ঠেলতে সংসারের চাবিটা কবে যে ভারী হয়ে গেছে-
টেরই পেলাম না!
বড্ড পা ব্যাথা করছে আজ,
দাও না গো রুটিটা ছেঁকে।
তোমাদের অনেক অনেক অবহেলার মাঝে সামান্য সেবাটুকু পেলে
তুষ্টি মেলে কিছুটা।
আমাদের সময় কাটে কীভাবে জানতে চেয়েছো কোনোদিন?
লাখ টাকার গহনায় সুখ কেনা যায়না রে মানিক।
সঙ্গমের নেশাটুকু কেটে গেলেই তো ছুড়ে ফেলো বেশ্যাদের কাতারে।
একি! শুয়ে পড়লে যে?
ক্ষিদে নেই বুঝি?
এমনি করে ছোট ছোট চাওয়াগুলো পদদিলত হয় প্রতিদিনে,
নীরবালার দীর্ঘশ্বাসে ভারি হয়ে উঠছিল ছেকা রুটি।
হায়রে সংসার! স্বস্তি দিয়েছো, দুকূল ছাপানো সুখ পেলামনা।
বোঝনা কেন? কেউ কেউ তো চায় আমাদের সঙ্গ,
ভালোবাসায় ভরে তুলতে চায় নীরবালাদের নিঃসঙ্গতাকে,
যেদিন পাশের বাড়ির ছেলেটির হাত ধরে উড়াল দিবো
জানি, একরাশ অপবাদ সাজিয়ে বসে রইবে পঞ্চায়েতে।