অদ্ভুত আসক্তি (পর্ব-১২)

Photo of author

By নবনিতা শেখ

“সঙ্গীহীন নাকি কেউ বাঁচতে পারে না। নিঃসঙ্গতা একটা মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ। আমি এই অভিশাপের সম্মুখীন হয়েছিলাম। এতো বছরের অভিশাপ কাটিয়ে ভার্সিটি লাইফে আসার পর কিছু ফ্রেন্ড পেয়েছিলাম। তখন নিজেকে নিঃসন্দেহে ভাগ্যবতী মনে হয়েছিলো। এমন ফ্রেন্ড ক’জন পায়! রুশী আর অয়ন মিলে আমাকে এতগুলো বছরের না পাওয়া সব ভালোবাসা দিয়েছিলো।

আপন জনের অপূর্ণতা পূরণ করেছিলো তারা দু’জন মিলে। নিজের কথা বলার জন্য মানুষ পেয়ে গিয়েছিলাম আমিও।

ভবিষ্যতে যে আমার জন্য এর চেয়েও ভালো কিছু ছিলো, তা আমি জানতাম না। আমার এতগুলো বছরের পাওয়া সবচেয়ে সেরা উপহার হচ্ছে আরহান। কখনো ভাবিনি, আমাকেও কেউ এতোটা ভালোবাসবে। আমারও অন্য সবার মতো এতো সুন্দর একটা পরিবার থাকবে।”

কথাগুলো বলে মুচকি হাসলাম। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সাঁঝ আকাশ দেখছি। আজ দু’দিন হলো এই বাড়িতে এসেছি। আরহান প্রায় সময়ই বাড়ির বাহিরে থাকে। সারাটাদিন নিশা আমার সাথেই থাকে। যেনো কেউ কড়া আদেশ দিয়ে রেখেছে, আমাকে কাছ ছাড়া করা যাবে না। রূপ আপু, আমাকে যতোটা সম্ভব এড়িয়েই চলে। দেখা হলেই কেমন যেনো মুখ বাঁকিয়ে ফেলে, যা আমার নজর এড়ায় না।

“ভাবি! এখানে দাঁড়িয়ে আছো তুমি! আমি তোমাকে পুরো বাড়ি খুঁজে ফেলেছিলাম।”

নিশার আওয়াজ পেয়ে পেছন দিকে তাকালাম। মুখে তার মুচকি হাসি। এই দু’দিনে যতটুকু চিনেছি, তাতে বুঝেছি মেয়েটা ভিষণ চঞ্চল ও মিশুক। ভীষণ মনে ধরেছে এই দু’দিনেই।

আমি হেসে এগিয়ে গেলাম ওর দিকে।

“এতো খুঁজছিলে কেনো বলো তো!”

আমার কথায় নিশা খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। কিছু বলতে চেয়েও বললো না। তখনই আমার ফোন বাজখাই আওয়াজে বেজে উঠলো। কাল আরহান কিনে দিয়েছেন এটা। ফোন হাতে নিয়ে দেখলাম আরহান কল করেছেন।

রিসিভ করতেই ওপাস থেকে আরহান বলে উঠলেন,“এতক্ষণ ধরে কল দিচ্ছিলাম, সাউন্ড কানে যায়নি নাকি? কই ছিলে তুমি? তোমাকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? আচ্ছা, তোমাকে না বারবার বলেছি সব সময় নিশার সাথে থাকবে। আমাকে টেনশনে না ফেললে তুমি শান্তি পাও না তাই না?”

“আসলে এরকম না। আমিতো ব্যালকনিতেই ছিলাম।”

“সে যেখানেই থাকো না কেনো, নিশাকে কাছে রাখবে। সবসময়।”

আমি মৃদু কন্ঠে “আচ্ছা” বললাম। আরহান কল কেটে দিল। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম এর আগের বারোটা মিসড কল স্ক্রিনে ভেসে আসছে। সবগুলো আরহানের নাম্বার থেকে এসেছে। আমি যে এতটাই গভীর খেয়ালে ছিলাম, আরহানের কলের শব্দ অবধি আমার কর্ণকুহরে প্রবেশ করেনি।

নিশা এখনো আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমার কথা বলা শেষ হতে দেখে, নিশা বলে উঠলো,“ভাবি! চলো নিচে যাই, মা ডেকেছে।”

নিচে এসে দেখলাম রুপ আপু সোফায় বসে আছে। আমাকে এখানে আসতে দেখে আপু নিঃশব্দে প্রস্থান করলো। আমি ছোট্ট করে একটা শ্বাস ফেললাম। বুঝিনা রূপ আপুর আমাকে নিয়ে এত সমস্যা কিসের?

আমি এগিয়ে গিয়ে মায়ের কাছে বসলাম। মুচকি হাসলেন মা। সামনে একটা বক্স রয়েছে। আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন,“এটা আমার শাশুড়ি মা আমাকে দিয়েছিল। তোমার জন্য যত্ন করে রেখেছিলাম। এখন থেকে এটা তোমার।”

বক্সটি খুলে দেখি সেখানে বেশ কিছু গহনা রয়েছে। নিতে নাকোচ করে উঠলাম। আমার এমনিতেই এসব ভারী গহনা পছন্দ না। অপ্রস্তুত লাগে নিজেকে।

“মা এগুলো এতবছর আপনার কাছে ছিল, আপনার কাছেই রাখুন না। আমি এগুলো সামলাতে পারবো না।”

মা জোর করেই দিয়ে দিলেন। বললেন,“অধিকার আছে তোমার এতে।”

_________________________

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে এসেছে। পাখিরা সব নিজ নিজ নীড়ে ফিরে যাচ্ছে। আর আমি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তাদের আনাগোনা দেখছি। আরহান এসেছেন কিছুক্ষণ আগেই। ফ্রেশ হয়ে আমার পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আজ আরহানের প্রতি ভয় হচ্ছে না। কোনো সংকোচ নেই। যা আছে তা হচ্ছে লজ্জা। এভাবে এত জলদি কেউ আমার মনে স্থান নিয়ে নেবে, ভাবিনি আমি। পিনপতন নীরবতার মাঝে যেনো আমার হৃদযন্ত্র উচ্চস্বরে বেজে যাচ্ছে।

কিছুক্ষণ বাদে আরহান নিস্তব্ধতা কাটিয়ে বলে উঠলেন,“কখনো ভুল বোঝোনা আমায়। আমি তোমার ভালোর জন্যেই সব করছি।”

আমি ভ্রু কুঁচকে আরহানের দিকে তাকালাম। কি ভুল করেছেন উনি! আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করেছেন, এটা ভুল? তবে বলবো আপনি কোনো ভুল করেননি। “ভালোবাসায় সব জায়েজ” কথাটিতে বিশ্বাসী আমি। আর আপনার ভালোবাসাটাও বিশ্বাস করি।

আমি হয়তো মেনে নিতাম না সম্পর্কটা। কিন্তু, আরহান আমার সামান্য ক্ষতি করেননি। উল্টো আমাকে না পাওয়া অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। একজন মা দিয়েছেন। একজন ছোট বোন দিয়েছেন। আর আমার আকাশের চাঁদ দিয়েছেন। ব্যক্তিগত চাঁদ। মেনে না নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। হয়তো মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। এই যা!

আরহান আবারও চুপ মেরে গেলেন। নিশার কাছ থেকে শুনেছি, আরহান নাকি কথা কম বলেন। তবে আমার সাথে অনেক কথা বলেছেন। কেনো?

মনের প্রশ্নটা মুখে এনে ফেললাম,“আপনি আমার সাথে এতো কথা বলেন, অথচ বাকিদের সাথে কেনো বলেননা?”

“মনের ভাব ব্যাক্ত করার সঠিক ঠিকানা পেয়েছি বলে।”

বড্ড ভারী ও কঠিন একটা বাক্য। অবুঝ চোখে তাকালাম আরহানের পানে। আমার এরূপ চাহনি দেখে হাসলেন আরহান। কি সুন্দর সেই হাসি! উনার এই হাস্যোজ্জ্বল মুখের দিকে তাকালে যে কোনো নারী মন হারাবে। হয়তো আমিও…

___________________

দুদিন ধরে ঘরবন্দী রুশী। নিজ ইচ্ছেতেই বেরোচ্ছে না ঘর থেকে। চুপচাপ থাকা যেনো স্বভাব হয়ে গিয়েছে। সেদিন ভার্সিটি থেকে ফিরে সোজা বীনির বাড়ি এসেছিলো রুশী। কিন্তু বীনিকে পায়নি। বীনির ছোট মা বলেও নি বীনি কোথায় আছে। রুশী খুব করে বীনিকে সেই মুহূর্তে কাছে চেয়েছিলো। কিন্তু পায়নি। তখন থেকেই নির্বাক হয়ে নিজ কক্ষে বসে আছে। এর মধ্যে রুশীর মা এসে খাইয়ে দিয়ে যায়। রুশী প্রায়শই তার মায়ের দিকে করুন চাহনি নিক্ষেপ করে। এই চাহনির মানেটা বুঝলো না তার মা।

জীবনের মানে এখন তার কাছে মৃত্যু। যে মরে যায়, সে বেঁচে যায়। যে বেঁচে থাকে, সে প্রতি মুহূর্তে তিলে তিলে মরতে থাকে। রুশী মরছে। প্রতিটি মুহূর্তে মরণ যন্ত্রণা অনুভব করছে। এর মধ্যে একবার ভেবেছিলো, ওর বাবাকে অয়নের কথা বলবে। কিন্তু কিভাবে বলবে, সে তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে ভালোবাসে, যে এখনও বাপের টাকায় ঘুরে, ফিরে, খায়, পড়ে। যে প্রতিষ্ঠিত না, মাত্র অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ছে। তার বাবা মা তো কাঁধ থেকে বোঝা সরাতে চাচ্ছে।

বার বার রুশীর মনে পড়ছে অয়নকে। সেই পুরোনো স্মৃতি গুলোকে। আবারো কেঁদে দিলো রুশী। কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলো,“ধিক্কার জানাই নিজেকে। ভালোবাসতে বাসতে সীমাহীন ভালোবাসা দিয়ে ফেললাম, তবুও মুখ ফুটে তাকে ভালোবাসি বলতে পারলাম না। তার আগেই হারিয়ে গেলো সে, হারিয়ে গেলাম আমি। দুজন দুজনার চেয়ে বহুদূরে। বড্ড দেরি করে ফেললাম আমি।”

__________________

ডোর নক করার সাউন্ড পেয়ে আরহান দেখতে গেলো। সাথে আমিও গেলাম। দরজা খুলতেই সেখানে নিশার হাস্যোজ্বল মুখটা দেখতে পেলাম। মেয়েটা এমনিতে হাসি খুশি। তবে এখন যেনো, এক্সট্রা হাসি নিয়ে রেখেছে ঠোঁটে।

আরহান ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো,“কি হয়েছে?”

“ভাইয়া! মাহী আপু এসেছে। জলদি নিচে এসো তোমরা।”

নিশা কথাটা বলেই চলে গেলো। আরহানের চেহারায় ও একটা খুশির ভাব এসেছে। আমি জানিনা মাহী কে। তবে যতটুকু মনে হচ্ছে, এদের খুব কাছের কেউ হবে হয়তো। জিজ্ঞেস করলাম আরহানকে,“মাহী কে?”

“আমার চাচাতো বোন। খুব ভালো মনের। কারো কষ্ট দেখতে পারে না, আবার খুব সহজেই সবার সাথে মিশতে পারে।”

“চাচাতো! আপনার কি আরো চাচা আছে?”

আরহান “না” বলেই আবার বললেন, “রূপের ছোট বোন ও।”

আমি এবার বেশ জোড়ে সোরেই “কিহ!” বলে উঠলাম। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। না হবার সবচেয়ে বড় কারণটা হচ্ছে, বড় বোনকে দেখলেই বিরক্তিতে সবার কপাল কুঁচকে আসে, আবার ছোটটাকে দেখলেই ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠে। একদম অবিশ্বাস্য!

আরহান আবারও হাসলেন। বললেন, “রূপ খারাপ না। আমাকে ভালোবাসে বলে তোমাকে সহ্য করতে পারে না। এইটুকুই।”

আমি জানতাম না এটা। বুঝতেও পারিনি। তবে ভালোবাসা না পাবার কষ্টটা অনুভব করতে পারছি। আমিওতো পরিবারের ভালোবাসা পাইনি।

“এখন নিচে চলো।”—বলেই আরহান আমার একহাত নিজের হাতের ভাজে নিলেন। বলার প্রয়োজন বোধ করেননি। এটাই হয়তো অধিকার বোধ। হাতের দিকে তাকিয়ে আরহানের পিছু পিছু যাচ্ছি। আমি উনার বড় বড় পায়ের সাথে পা মিলিয়ে হাঁটার চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি কই? শেষমেষ বলেই ফেললাম,“একটু ধীরে হাঁটুন না!”

আরহান থেমে গেলেন। এরপর ধীরপায়ে হাঁটা দিলেন। আমিও এলাম।

একটা অন্যরকম শান্তি অনুভব করছি। এখন মনের মাঝে একটা কথায় আসছে,“এই সময়টা এখানেই থমকে গেলে পারতো। পথটা আরো একটু দীর্ঘ হলেও পারতো।”

“ভাইয়া! ভালো আছো?”

মাহীর প্রশ্নে আরহান মৃদু কন্ঠে “হুঁ” বললেন। মাহী এবার আমার দিকে তাকালো। আমি এক পলকে মেয়েটিকে অবলোকন করে নিলাম। পরনে লং কুর্তি, সাদা রঙের। ফরসা গায়ের রং। কানে ছোট ঝুমকা, কপালে কালো টিপ। লম্বা চুলগুলো খুলে রাখা। চেহারায় বাঙালি ভাব দৃশ্যমান । রূপ আপুকে দেখেই বিদেশি বোঝা যাচ্ছিলো। কিন্তু মাহী পুরো আলাদা।

আমাকে কিছুক্ষণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখলো। হঠাৎ ঠোঁটে হাসি ফুঁটিয়ে বললো,“তুমি ভাবি!”

আমি মাথা দুলিয়ে “হ্যাঁ” বললাম। হুট করেই মাহী আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমি হতভম্ব বিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। মাহী আমাকে ছেড়ে দাঁড়িয়ে বললো,“তোমাকে ভালো লেগেছে আমার। আর আমার যাদেরকে ভালো লাগে, তাদেরকে নিজের কাছের মানুষ ভাবি। তুমিও আজ থেকে আমার কাছের।”

আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি। বাংলা ও একদম স্পষ্ট। রূপ আপু আর মাহী সম্পূর্ণ আলাদা। আসলেই আলাদা।

ওদিকে রূপ আপু আমাদের দেখে হুট করেই রেগে গেলো। মাহীর হাতটা ধরে নিজের রুমে নিয়ে গেলো। যাবার আগে বলে গেলো,“এতো দূর থেকে এসেছে, ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিক। পরে কথা হবে।”

“কি দিভাই! এখানে আনলি কেনো আমাকে?”

মাহীর প্রশ্নের প্রেক্ষিতে রূপ ওকে ধমকিয়ে বলে উঠলো,“তুই এখানে ওদের আলাদা করতে এসেছিস নাকি আমার থেকে ওকে আলাদা করতে?”

মাহী কিছু বলতে যাবে, তার আগেই রূপ পুনরায় বলে উঠলো,“আরহানকে যে করেই হোক, আমার হতেই হবে।”

“দেখ দিভাই! ভাগ্যে বিশ্বাসী হ। ভাইয়া তোর ভাগ্যে নেই। তাছাড়া তুই তো ওকে ভালোবেসেছিস। আর ভাইয়া ঐ মেয়েটিকে। ভালোবাসার মানুষটি ভালো থাকুক, এই তো চাওয়া, তাইনা? সে যেখানেই, যার কাছেই ভালো থাকুক।”

চিল্লিয়ে উঠলো রূপ,“আরহানকে আমার চাই’ই চাই। আমি ওকে অন্য কারোর হতে দেখতে পারবো না। এজন্য যদি আরহানকেই শেষ করতে হয়, করে দেবো।”

মাহী থমকে গেলো। বেশ কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করে বলে উঠলো,“এসব ভুলে যা। ভাইয়া আর ভাবির মাঝে ঝামেলা ক্রিয়েট করিস না। ভাইয়ার ক্ষতি করিস না। আগেই ওয়ার্ন করে দিচ্ছি। নাহলে খারাপ হয়ে যাবে।”

___________________

দুদিন ধরে সমস্ত লোক লাগিয়ে তৃষ্ণা হন্যে হয়ে খুঁজে যাচ্ছে বীনিকে। শহরের একটা কোণাও বাদ রাখেনি। এমনকি শহরের বাইরেও লোক পাঠিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যে। হঠাৎ তৃষ্ণার মস্তিষ্কে এলো, আরহান লুকিয়েছে? ওর বাড়ির ঐ মেয়েটা কি বীনি ছিলো?

সম্ভাবনা ৫০% আছে।

এখন গভীর রাত। ঘড়িতে বাজে রাত দেড়টা। এমন সময় আরহানের নম্বরে কল এলো। আমিই আগে জাগনা পেলাম। আরহান কে হালকা ধাক্কিয়ে ঘুমু ঘুমু কন্ঠে বলে উঠলাম,“আপনার ফোন বাজছে। দেখুন না!”

আরহান একটু বিরক্ত হয়ে ফোনটা রিসিভ করলো। আননৌন নম্বর। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো, “বীনিকে তোর কাছে লুকিয়ে রেখেছিস তাইনা? ভালোয় ভালোয় ফিরিয়ে দে। আমার জিনিস আমার কি করে রাখতে হয় জানা আছে। ফিরিয়ে দে।”

“হ্যাঁ! ও আমার কাছে। নাও, ইউ ক্যান ডু হোয়াট এভার ইউ ওয়ান্ট।”

চলবে…