নারী,
তোমার উপলব্ধিকে সম্মান জানিয়েই বলছি –
তুমি কি লক্ষ্য করোনি যে আজ
একটা দিবস আছে, আর
সেটা নারী’র নামে!
নারী পুরুষ নির্বিশেষ আজ
কতোজন কতোভাবে তার বক্তব্য পেশ করেছে।
পুরুষেরা কৌশলে চাটুকারিতা দেখিয়েছে, অথচ
নারীরা তা বুঝেইনি।
না বুঝেই নিজেরা মহাখুশি – আজ তাদের একটা দিবস আছে!
আজকের এই দিন মানেই যেন একঝাক নারী
সাজুগুজু করবে আর সেলফি, গ্রুপ সেলফি, হই হুল্লুর…
সমতা শব্দের মাঝে কি ভয়ঙ্কর গোপন সত্য লুকিয়ে আছে তা
কোনোকালেই সাধারণ নরনারীদের বুঝবার বুদ্ধি হবেনা।
প্রথম সমতা হারায় তারই নিজের কাছে।
আমার মা আমার কাছে মা’ই। মা তো নারী নয়!
আমার মাথার ওপর ছায়া ও ভরসা, যেমন আমার বাবা ও।
মায়ের কাছে আমি আজীবন ছোট!
কই? কোনোদিন তো বড় হইনি, বা হতে চাইনি?
আমার স্ত্রী আমার অর্ধেক। পক্ষান্তরে আমিও তার অর্ধেক।
ঐ যে বললাম না, সমতা শব্দের মাঝে –
কি ভয়ঙ্কর গোপন সত্য লুকিয়ে আছে।
সেই সত্যের অনুধাবন না আমি করতে পারি,
না পারে আমার অর্ধাঙ্গীনী।
না বুঝতে পারে আমার সাধাসিধে মা, আমার সাধাসিধে বাবা।
সমতা শব্দের ভয়ঙ্কর গোপন সত্যের ঝলমলে ঝান্ডায়
চোখ ঝলসে যায় প্রায় সবারই।
সমান হবো কবে, সমান হবো কবে করে করে
বেড়ে যায় ব্যবধান –
তোমার আমার মাঝে…
নারী, তুমি নারী হইয়ো না
আমার মানষী হইয়ো
আমায় পুরুষ বানিও না
তোমার মানষ করিও।
আলম
৮ই মার্চ, ২০২২ইং সন্ধ্যে ৬টা ১১মি.