হ্যালো হ্যালো হ্যালো…

Photo of author

By লীনা ফারজানা

কয়েক দিন আগে আমার বর বাসার বাহিরে মানে গেটের সামনে কিছু লোকদের সাথে কথা বলার জন্য যায়। অনেক্ষন ধরেই দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো। বাটন ও স্মার্ট ফোন দুটোই রুমে রেখে যায়।

আমি ওর বাটন ফোন নিয়ে আমার মাকে কল দিয়ে কথা বলি। মাঝে মাঝেই ওর ফোন থেকে মায়ের সাথে অনেক্ষন কথা বলি। তাই আজ ভাবলাম চুপি চুপি কথা বলে রেখে দিবো। কথা শেষ হবার পরে আবার কি একটা কথা মনে পড়ায় মাকে কল দেয়ার চেষ্টা করি।

ওর ফোনে মায়ের নাম্বারটা ‘Ma robi’ লিখে সেভ করা। ওর স্মার্ট ফোনের নাম্বার ‘My robi’ লিখে সেভ করা। তা আমি জানতাম না। আমি দ্বিতীয় বার মাকে কল দিতে যেয়ে ভুলে ওর স্মার্ট ফোনে My robi লেখা নাম্বারে কল দেই আর দেখতে পাই ফোনটাতে রিং বাজছে। আমি বুঝতে পারিনি ভুলে আমিই ওটাতে কল দিয়েছি। রিং বেজে কেটে গেলো তাই ভাবছি মা ফোন ধরছে না কেনো?

আবার কল দেই দেখি ওর ফোনটাতে আবার ও রিং হচ্ছে আমি ওর ফোন নিয়ে বাসার সামনে যেয়ে ওর ফোন দিয়ে বলি কে যেনো রিং দিচ্ছে দেখো। নাম্বার না দেখেই হ্যালো বললো। আমি ওর হাতে ফোন দিয়ে রুমে এসে হ্যালো বললাম।

হঠাৎ হ্যালো কন্ঠ শুনে চমকে গেলাম কয়েক সেকেন্ডেই ভাবছিলাম মায়ের কন্ঠ পুরুষের মতো কেনো? মায়ের ফোন কে ধরলো? মায়ের ফোন ধরার কেউ তো নেই? আমি দুবার হ্যালো বলে এইসব ভাবছিলাম। ওপাশ থেকে আবার বর হ্যালো হ্যালো বলেই চলেছে।

আমি বরের কন্ঠ চিনতে পেরে ফোন কেটে দিয়ে দরজার সামনে গিয়ে হেসে হেসে বললাম- ভুলে আমি তোমাকে তোমার বাটন ফোন থেকে কল দিয়েছি আর সেটা মায়ের নাম্বার ভেবেই।

ও একটু হেসে অনেকটা বিরক্তির ভাব দেখিয়ে আমার হাতে ফোন দিয়ে বাহিরের দিকে চলে গেলো। আমি রুমে এসে একা হাসতে হাসতে শেষ।

তবে আমি অনেক দিন পরে নিজের বোকামোর জন্য হলে ও খুব জোরে জোরে হাসতে পেরেছি। খুব এনজয় করেছি একা একাই।

লীনা ফারজানা
৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ইং