একটি বর্ণীল ঘাস ফড়িং এর খোঁজে,
আমি এফোড় ওফোড় করে ফিরেছি,
পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর দক্ষিণ,
নেই নেই কোথাও নেই,
শুধু হাহাকার, বেদনার উদগীরণ।
সিংহল সুমাত্রা হয়ে হিমালয়ের পাদদেশে,
সমুদ্রের অতল বেয়ে বালিয়াড়ির সীমানা পর্যন্ত,
নেই নেই কোথাও নেই,
দুদণ্ড সুখের ঘাস ফড়িং,
আছে শুধু মানবতার উত্তপ্ত প্রহসন।
সাগর বুকে মাছুম শিশুর রক্তের আহাজারি,
প্রকৃতিতে মিশে আছে অনাহারী আর্তনাদ,
বিবস্ত্র মানবতা ধূম্রতায় মুখ লুকায়,
নেই নেই কোথাও নেই,
সহমর্মিতার এতোটুকুও পাতা আঁচল।
পথের সাথী অসহায় অলিদের অস্ফুট আর্তনাদ,
ডাস্টবিনে থাকা সদ্য প্রসূত শিশু,
বিবর্ণা ধরিত্রী অবাক চোখে দেখে,
নেই নেই কোথাও নেই,
শান্তির চোখে এক ফোটা কাজল।
স্বার্থের ঘোড়া টগবগিয়ে ছুটে,
রক্তের বন্ধনে হিমোগ্লোবিনের বড়ো অভাব,
নিরাপত্তা নেই মায়ের আঁচল ছায়ে,
নেই নেই কোথাও নেই,
মক্ষী চিলের থাবা গ্রাসে অশ্রুজল।