মন খারাপের সময়টায় বড্ড
বেশি তোমার পাশে বসতে ইচ্ছে হয়,
আজও তার ব্যতিক্রম নয়।
পাশে বসার অনুমতি প্রকাশের আগেই
ধপ করে বসে পড়া।
বই থেকে চোখ সরিয়ে আর-চোখে
আমায় একটু দেখে নিলো।
চশমা টা ঠিক করতে করতে,
কি হয়েছে?
গাল ফুলিয়ে ভারি কন্ঠে,,
কি আবার হবে কিছুনা।
এমনি একটু কান্না করতে আসলাম।
অবাক চাহুনির দৃষ্টি রেখে
এবার চশমা টা নামিয়েই নিলো।
হঠাৎ কান্নার কথা শুনে উনি বোধহয়
একটু বেশি অবাক হয়েছে।
কখনো কি কেউ কারন ছাড়া
কান্না করে এটা ভেবে।কিন্তু কোনো
কারন তো খুঁজে পাচ্ছে না।
মনে মনে বহু চেষ্টার পর
প্রশ্ন ছুড়ে দিলো,কান্নার কারন টা
কি জানতে পারি কান্দুরি?
(বেশি কান্নার ফলে ভালোবাসার
এক কান্নার অমরত্ব লাভের নাম কান্দুরী)
কিন্তু কোনো উত্তর দিতে পারলাম না।
নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না
গলা জড়িয়ে তার বুক ভাসিয়ে দিলাম।
অজানা ব্যথায় ব্যথিত মানুষ কে
জড়িয়ে যখন সেও কষ্ট পায়
আর সহ্যের ক্ষমতা থাকে না।
ভেজা চোখ জোড়ার ল্যাপ্টানো কাজলের
দৃষ্টিতে তাকে বুঝানো,তাকেই হারানোর
ভয়ে আমি ব্যথিত।ঠিক বুঝে উঠার আগেই
মিষ্টি হাসিতে উত্তরে, হারাবো না
কথার মাঝে নতুন করে বিশ্বাস খুঁজে পাই।
জীবনের প্রতিটা দিনই যেন
তার একটি কথার জন্য সুন্দর হয়ে উঠে।
তোমার স্মৃতিতে জড়ানো,রঙিন,সুন্দর কথা
গুলো আমাকে আরও কাছে টানে।
আজীবন এভাবেই সুখে,দুঃখে
পাশে থেকো,,,,,,,,,,,,,,,,।