এই যে এতো এতো ভালোবাসার মানুষ!!
বন্ধু বান্ধব আত্নীয় স্বজন, কিন্তু তবুও একটা নির্দিষ্ট মানুষকে
ভালোবাসার জন্য মনটা খচখচ করে,
নিজের মনে জমানো সমস্ত লুকনো ভালোবাসা টুকু তার জন্য
খরচ করতে মন চায়।
মন চায় নিজের প্রতিটি দিন প্রতিটিক্ষন শুধু তার নামে রাঙ্গাই,
আয়নার সামনে দাড়িয়ে চোখে কাজল দিয়ে, কপালে টিপ পরতে পরতে
তার কথা ভেবে একটু লাজুক হাসতে মন চায়।
ঠোঁট লাল করে, দু হাতের রেশমি চুঁড়ি বাজিয়ে গলা জড়িয়ে
একটু আহ্লাদী হতে মন চায়
মন চায় প্রতিদিন শাড়ির কুঁচি গুলো তাকে দিয়েই ঠিক করাই
একটু হালকা রাগ ও অভিমান করে বলি –
এতো দিনেও শাড়ির কুঁচি ঠিক করাটা শিখাতে পারলাম না
তোমাকে দিয়ে এই সহজ কাজটাও হয় না!!
রোজ সন্ধ্যে নামার পর তিন চাকার রিকসায় চড়ে শাড়ির আঁচল উড়িয়ে
এলোচুলে তার শক্ত হাতের বাহু ধরে ঘুরে বেড়াই
আর এলোচুলের মাতাল ঘ্রানে তার মনেতেও নেশা ধরাতে মন চায়।
মাঝ রাতে শান্ত নদীর বুকে ছোট্ট নৌকায় বসে ভরা পূর্নিমার
রুপোর আলোয় ভাসতে মন চায়
এতো এতো আপনজন তবুও একটা নির্দিষ্ট মানুষের জন্য যে ভালেবাসা
সে ছাড়া আর কারও জন্য ভালোবাসার ঐ অনুভূতি টুকু আসে না
আর কারও জন্য চোখ সাজাতে, ঠোঁট রাঙ্গাতে মন
ভোলাতে মন চায় না
ঐ একজন নির্দিষ্ট মানুষের জন্য আজন্মকাল পথ চেয়ে বসে থাকতে মন চায়।
ঝাপসা চোখ
শীর্ণ দেহ
সফেদ চুলেও মনের মাঝে আশার আলো জ্বেলে ভালোবাসার মানুষটির জন্য
অপেক্ষা করতে মন চায়
দেহ ও মনে শিকর গজিয়ে গেলেও মন চায় তার জন্য আজীবন
পথ চেয়ে বসে থাকি।
কখনও ফিরে আসবেনা জেনেও একজন নির্দিষ্ট মানুষের জন্য অপেক্ষা করতে মন চায়।
ভালোবাসার জন্ম হয় নানান ভাবে, ঐ নির্দিষ্ট একজনের জন্য
জন্মানো ভালোবাসার অনুভুতিটা
আর কারও জন্য জন্মায় না।
ভালোবেসে বেঁচে থাকে আজীবন
ভালোবাসায় বেঁচে থাকে আমরন।