ভেতরে সদাই জাগরূক এক প্রতিচ্ছবি,
নিরবধি ভাসে অথৈ সাগর জলে,
কখনো কাষ্ঠখণ্ড, খুড়কুটো, কখনো বা বিবর্ণ শ্যাঁওলা আদলে,
সীমাহীন নীলাদ্রী জলস্রোতে বহে নিঃসঙ্গ জীবন,,
ধূধূ একুল ওকুল মহা পাথারে প্রলয়ঙ্করী ঝড়,
প্রমত্ত জলোচ্ছ্বাসে বাঁধনি আলগা হয় তোড়ে,
এক এক করে হারায় সবই অতন্দ্র সুগভীর আঁধারে।
কোলাহলের মাঝে খুঁজে পাই অসীম নিস্তব্ধতা,
ব্যঙ্গ করে তাকিয়ে থাকে—
অদেখা ভবিষ্যতের কিছু আঁকিবুঁকি রেখা,
নিয়ন্ত্রণাহীন ভবিষ্যতের আসনে দেখি আজ-
অযাচিত কুচক্রী কিছু সঞ্চালক,
নিজেই নিজেকে দেখে স্বঘোষিত ভগবান রূপে,
স্রষ্ঠাও বিদ্রুপ হাসি হেসে মুখ ফিরিয়ে রাখে উল্টো দিকে,
ধর্মের কালজয়ী কথা না শোনে না মানে উদ্ভ্রান্ত মন,
পরচর্চা, পরনিন্দার কলুষিত পরজীবী আত্মা, হয় যে বেশি আপন,
বোধের বিভ্রান্তিতে কাল কুঠুরিতে আপন জনের শ্বাসরুদ্ধকর মহাপ্রস্থান,
তৃতীয় পক্ষ উচ্ছ্বসিত রঙ মেখে স্থলাভিষিক্ত আপনেরই শূন্য কুটিরে।
শোক, দুঃখ, বিষাদ শত, জমিয়ে রাখো নিজ অন্তর কলেবরে,
ভারমুক্তি শান্তির আশায় কাছে টানো যদি ত্রিনয়ন সুজন,
মনে রেখো তা হবে খোদ বিশ্বাসের ঘরের দূর্বল ভিত্তির প্রস্তর ,
দুধ কলা দিয়ে যে সাপ পুষে যাও দিনের পর দিন,
ফণা তো ধরবেই, আসছে সেই নিকটতম ভবিষ্যৎ ক্ষণ,
খাল কেটে কুমির নিজেই আনলে আজ জীবন আঙিনাতে,
তারপরও খুঁজে ফেরো খুশি আতিপাতি এদিক সেদিক,
হীন দুষ্কৃতকারী সদাই সজাগ অন্যের আধিপত্য হরণে,
পন্ডশ্রম করবে সব নিজের নাক কেটে হলেও অন্যের যাত্রা ভঙ্গে,
অপেক্ষায় প্রহর কাটে বোধ একদিন জাগবেই জাগবে,
চির অনলে দহিত আত্মার শেষ বলে থাকে শুধু ,
অমীমাংসিত স্বপ্নের কিছু স্তূপীকৃত ছাঁই।
🖋️ মোঃ হাবিবুল হক চয়ন।
__মিরপুর,ঢাকা/ ২১.০৬.২০২২।