Select Page

তেইশটুকুই সম্বল

তেইশটুকুই সম্বল

তেপান্নর ত্রিশ পর্যন্ত অচেতন সময়
বাকি তেইশটুকু সম্বল
সুখের হাসি কিম্বা দুঃখের কান্না ইত্যাদি মিলেই এপর্যন্ত তেইশ—

হার্ট এ্যাটাকের খবর আসে
সুগারের বাড়াবাড়ি, রক্তচাপের বেপরোয়া মনোভাব –
নিভু নিভু আলোয় মোবাইলের সাথে বসবাস
পারিবারিক সম্পর্কগুলো তথাকথিত অবস্থানে ;
সবমিলেই মাত্র তেইশটুকুই সম্বল -!

উদ্বৃত্ত সময়টুকুও যায় যায়
মনের ভেতর মরুর খরা, শরীরে জোড়াতালি শিরা-উপশিরা ;
মুখমণ্ডলের ভাঁজে অভিজ্ঞতার ছাপ নেই
কেবল চিরাচরিত বার্ধক্য যেনো জাঁকিয়ে বসার আয়োজনে ব্যস্ত-৷

পূর্ণাঙ্গ তেইশটুকুও অপরিপক্ব বেশ
পাকা চুলের সাথে ইচ্ছের বয়স বাড়েনি একবারও –
স্বপ্নেরা ভাঙা চাঁদের বুকে এখনও খেলে বেড়ানোর কথা ভাবে,
উত্তাল স্রোতে এপার-ওপার করে; আশ্চর্য -!

উত্তীর্ণ মেয়াদ নিয়ে বাসি সময়টুকুর নিরবচ্ছিন্ন যাপন
সৌভাগ্যের তেইশটুকু সাথী তবুও আজও
তেপান্তরের মাঠে দলবেঁধে হেঁটে বেড়ানো শৈশব, রথের মেলায় যুবতী সার্কাসের বিস্ময়কর খেলা –

আজ সময় আপন নয়
সবকিছুই কেমন দূর সম্পর্কের তালাতো ভাইয়ের সহধর্মিণীর আত্মীয় কেউ-!
শুধু জরাজীর্ণ তেইশটুকুই সম্বল-৷

বাসব রায়

About The Author