স্বর্ণকাব্য

মেঘলা আকাশ মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে
থেমে যাচ্ছে আবার পড়ছে । সেদিন ছিল অষ্টমী বিকালে ভদ্রলোকের হঠাৎ মুক্তার কথা মনে পড়ল বলল যাই মণ্ডপে মন্ডপে গিয়ে খুঁজে আসি
মুক্তা হচ্ছে তার এক্স গার্লফ্রেন্ড আর আমার ফ্রেন্ড
অনেক গুলো বছর হলো ওর সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই
আমি বললাম
তুমি কি বের হবে?
নাকি ঘরেই বসে থাকবে তার থেকে চলো ভেলপুরি খেয়ে আসি।
বললো এই বৃষ্টি তে?
নাহ্
এখন মনে হয় থেমে গেছে চলো।
অনেক দিন পর শুধুমাত্র আমি আর পাশের বাড়ির ভদ্রলোক একসঙ্গে বের হলাম।
আগে প্রায় বাইকে লং এ যাওয়া হতো , এখন আর আগের মতো জীবন নেই অনেক কিছু পাল্টে গেছে বদলে গেছি আমি বদলে গেছে সে।
গোধূলি থেকে সন্ধ্যা হয়ে গেল ভেলপুরির গন্তব্যে পৌঁছাতে বাসা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে
যেতে যেতে দু’জনে অনেক কথা কিন্তু সরাসরি আমাদের কথা হয় না ।
আকারে ইঙ্গিতে সে আমাকে অনেক কিছু ই বোঝাতে চাইছে
কিন্তু তার সব বুঝ তো আমি সেই কবেই বুঝে আছি ।
ভেলপুরি খেতে খেতে আবার বৃষ্টি নামলো । এবার বাসায় ফিরবো কিভাবে ?
ছোট একটা দোকানে আশ্রয় তো নিলাম কিন্তু বাইক ও ভিজে যাচ্ছে সাথে সাথে আমরা ও
উষ্ণতা পেতে তাহলে হয়ে যাক এক কাপ চা
বৃষ্টি ভেজা চা
বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা
পাশে আমার সব থেকে আপনজন,
তারপরও আমরা প্রতিবেশী
হায় রে জীবন!!!
চা শেষ কিন্তু বৃষ্টি শেষ হলো না
কিছু করার নেই বাসায় ফিরতে হবে রাত হয়ে যাচ্ছে
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ফিরছি
বৃষ্টির ফোঁটা গুলো গায়ে খুব জোরে জোরে লাগছে
শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে
কিন্তু…….
,ঝুম বৃষ্টি তে শহরটাকে অন্য রকম লাগছে
এই শহরে আমাদের কত এমন ভালো লাগার স্মৃতি ছিল
এখন সব মলিন হয়ে গেছে
ফ্যাকাসে হয়ে গেছে সম্পর্ক ।
——–স্বর্ণ সমুদ্র।