কি ভালো, কাল কথা হবে!
এমনি করেই আচমকা আমাদের কথা ফুরিয়ে যায়।
তোমাকে চলে যেতে হয়,
আমাকে গা ভর্তি যন্ত্রণা নিয়ে অপেক্ষা করেতে হয় ঘুমের,
“কি লাভ আমার থেকে, কার কি যায় আসে”!
যায় আসে, আমার যায় আসে,
সারাদিন অপেক্ষা থাকে কখন তুমি আসবে
সারা দিন কতো ব্যস্ততা কতো কাজের ভিড়ে
আমাকে একটা ছোট্ট লাল তিল করে তুমি রেখে দিয়েছ তোমার বুকের ভাঁজে
দারুন গোপনীয়তায় আলতো আদরের আড়ালে!
মনে থাকবে, সেই সব অনুচ্চারিত সব্দের ফিসফাস
ভেজা আঙ্গুল, নরম ঠোঁট চন্দন গন্ধি কুল কুণ্ডলিনি চক্র যেখানে প্রথিত জীবন।
জীবন তোমার ছায়ার পাশে ছায়ায় মিশে আরও গাড় হয়ে
তোমাতেই মিশে থাকে, “দেবো, তোমাকে দেয়া যায়”
হুম, তোমাকেই দেয়া যায় এই অন্দর মহল
নিদাগ উঠোন, ঠাণ্ডা লাল মেঝে, শিউলি গাছ, কাক চক্ষু জলের পুকুর
আবেগ মথিত ডুব সাঁতার আর ভাদ্রের গরমে সেই ছোট্ট লাল তিল ছুঁয়ে
গড়িয়ে নামা মৃগনাভি ঘাম,
কোনোদিন আদুল ফর্সা পিঠে এঁকে দেবো বুনোহাঁসের ঝাঁক
কোমরের বাঁকে পৌষের কুয়াশা সকাল,
সূর্যোদয় আর কাঁধের কাছে নীল প্রজাপতি।
আমাকে মনে করে কখনই কি দাঁড়াবে আয়নায়,
অথবা ঝুলনের দিন গাইবে গান!
জলের দিকে ঝুঁকে আছে ঋদ্ধ বৃক্ষ শাখা
তুমি দুলছো খোলা চুলে পায়ের আঙ্গুলে ছুঁয়ে জলের আকুতি,
জলের ওপর ছিলো আদুরে কুয়াশা,
আমি ছিলাম তোমার বুকের ভেতর
তোমার ঈপ্সিত আনন্দ স্রোত, ত্রিবেণীতে শেকল বন্দি,
কিছু মুহূর্তের কাছে ঋণী, কিছু চিরো চাওয়া দুর্বোধ্য ইশারার কাছে
তোমার এবং তোমার দ্বিভাজিকার ওই ছোট্ট লাল তিলের কাছে
দিনান্তে আমাকে নতজানু হতেই হয়,
আমাকে বলতেই হয় “ভালোবাসি” ।