দর্শন বিভাগের কাজ শেষ করে অগ্রনী ব্যাংকে টাকা জমা দিতেই একটা বেজে গেল।ভর্তি শাখায় ইসমাইল মামার কাছে পল্লবরা যখন পৌছলো,মামা তখন লাঞ্চের আয়োজনে ব্যস্ত।
পল্লবঃ- মামা, কাগজগুলো একটু নেন না।
মামাঃ- দুইটার পরে মামা।এখন লাঞ্চ টাইম।
পল্লবঃ- প্লিজ মামা।
মামাঃ- আমরাওতো মানুষ।সকাল থেকে কি পরিশ্রমটাই না করছি।এখন একটু খেতে দেন।
পল্লবঃ- মামা তুমিতো এমন ছিলা না।আমরা তোমার কত প্রশংসা করি।তুমি কি সেটা জানো?
পল্লব ইসমাইল মামাকে একটু পটাতে চেষ্টা করলো।
মামাঃ- কি প্রশংসা করেন?
পল্লবঃ- সবাই বলি, ইসমাইল মামা সবার চেয়ে ভাল।সময়-অসময়ে কাউকে ফিরিয়ে দেয় না।
মামাঃ- হইছে, আর পাম দিতে হবে না।দেন সব কাগজপত্র।
পল্লবঃ- আমার লক্ষি মামা।
রেজিষ্ট্রার ভবন থেকে বের হয়ে ওরা ক্যাফেটেরিয়ায় লাঞ্চ করতে গেল।
শারমিনঃ- আচ্ছা, ইসমাইল মামা কি খুব ভাল?
পল্লবঃ- ও আচ্ছা একটা খবিশ। ওই কথা না বললে আড়াইটার আগে আমাদের কাজ করে দিত না।
শারমিনঃ- মানুষকেতো ভালই পটাতে পারেন।
পল্লবঃ- তোমার মতামত এটা?
শারমিনঃ- হুম।আপনার আজকের কাজগুলোতো দেখলাম।আমি একা হলে দুই দিনেও সবটা করতে পারতাম না।
পল্লবঃ- আর কি কি অবজারভেশন করলে?
শারমিনঃ- আপনি হলেন হরফুনমৌলা- সকল কাজের কাজী।
পল্লবঃ- শুনে ভাল লাগলো।ভবিষ্যৎই বলে দিবে তোমার অবজারভেশন কতটা সঠিক।
শারমিনঃ- আমি মানুষ চিনতে ভুল করি না।
পল্লবঃ- তাই! বলতো আমি মানুষটা কেমন?
শারমিনঃ- আপনি খুব ভাল মানুষ।তবে বেশ সহজ সরল।
পল্লবঃ- মানে বোকা?
শারমিনঃ- আরে না।বোকা হবেন কেন?অন্য দশজন থেকে আলাদা।
পল্লবঃ- তাহলেতো চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হবে।
শারমিনঃ- কি যে বলেন ভাইয়া।আপনি খুব ভাল মানুষ।তবে ভাল মানুষেরা ভালবাসা যেমন পায়,কষ্টও তেমনি পায়।
পল্লবঃ- তুমি ছোট মানুষ।এতকিছু কেমনে জানলে?
শারমিনঃ- আমি কিন্তু বেশ বড় হয়ে গেছি।এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট।
পল্লবঃ- আমাদের এখানে কিন্তু একটা সুন্দর নিয়ম আছে।
শারমিনঃ- কি নিয়ম ভাইয়া?
পল্লবঃ- এখানে আপনি বলা নিষেধ।
শারমিনঃ- মানে
পল্লবঃ- জুনিয়ররা সব সিনিয়রকে ভাইয়া বা আপু বলে।আর সিনিয়ররা জুনিয়রকেও ভাইয়া আর আপু বলে।তাছাড়া সবাই সবাইকে তুমি বলে।শুধুমাত্র ক্লাশমেটরা তুই তোকারি করে।
শারমিনঃ- খুব ভাল নিয়মতো!
পল্লবঃ- তাহলে তুমি নিয়ম ভাঙছো কেন?
শারমিনঃ- আমি আবার কখন নিয়ম ভাঙলাম!
পল্লবঃ- আমাকে তুমি আপনি আপনি করে বলছো।
শারমিনঃ- হা হা হা। আস্তে ধীরে বলবো ভাইয়া।
চলবে…