Sharmin

আজ খুব সকাল সকাল শারমিন ঘুম থেকে উঠেছে। অনেকদিন সকালবেলা উঠা হয় না।হাতমুখ ধূয়ে ব্যালকনিতে দাড়িয়ে হঠাৎ মনটা ভাল হয়ে গেল। কি সুন্দর মৃদুমন্দ বাতাস! বাসার সামনের শিউলি ফুলের গাছটা নীচে কি অপূর্ব সুন্দর সাদা চাদর বিছিয়ে আছে। আশ্বিনের এই সুন্দর সকাল যেন জানান দিচ্ছে মায়ের আগমনী বার্তা।

আজ আমার মেয়ে বাসায় আসবে,ভাবতেই শারমিনের মনটা এক অনাবিল আনন্দে ভরে যায়। শারদীয় পূজার ছুটি শুরু হয়ে গেছে। শারমিনের কলেজ গতকাল থেকেই ছুটি হয়ে গেছে। পনেরো দিনের ছুটি। বেশ লম্বা সময়। তবে এবারের ছুটিটা খুব ছোট মনে হচ্ছে শারমিনের। তবুও মন্দের ভাল। ঋতুকে আনতে সেই ভোররাতে তমাল গিয়েছে বিমান বন্দরে। সাড়ে চারটায় প্লেন ল্যান্ড করবে। সবকিছু ফর্মালিটিজ শেষ করে বাসায় আসতে আসতে আটটা বেজে যাবে। এখনও হাতে দুই আড়াই ঘন্টা সময় আছে। কতদিন পরে মেয়েকে দেখবে, ভাবতেই কেমন আনমনা হয়ে পরে শারমিন।

ঊনিশ না পেরোতেই শারমিনের বিয়ে হয়ে যায়। বর তমাল এফআরসিএস করার জন্য পাড়ি জমায় বিলেতে। একা শারমিন কি করবে! শেষে ভর্তি হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনে। শুরু হয় নতুন জীবন। প্রকৃতিপ্রেমী শারমিনের কাছে মনেহয়, এইতো জীবন। আহা জীবন!!!

চলবে…