চাইলেই কি কেউ প্রমিথিউসের জ্ঞান ছিনিয়ে নিতে পারবে?
ভুমধ্যসাগর ভারত সাগরের পাড়ে বসে চৈতালি বসন্তে ক্লিউপেট্রা ফিরে আসে বারবার!
ভাবনার করিডোর নিউমার্কেট পেরিয়ে রবিন্দ্র সরোবরে লুটিপুটি খায়—
একজোড়া পানকৌড়ির বেশে মাতাল চুমুকে তুলে আনে
যত ভালবাসার পদাবলি
উতকন্ঠিত পদ্মাপাড়ে আফ্রোদিতি দেখে নীল চোখে অমোঘ বেদনার ঘুপচি অলিগলি
পতেঙ্গায় অস্তগামি সুর্যের বিদায় হাসিতে কষ্টেরা সাতরে পার হয় কর্নফুলি থেকে বঙ্গসাগর…।
তবু কিছু কথা কবিতার শব্দে ক্ষোভ ছড়ায় শেষের কবিতায় বিষের বাশির সুরে,
সকাল সুর্য ঠিকরে পড়ে পাহাড়ের চুড়ায় মেডিকেল হোষ্টেলে হতাশ প্রেমিকের চিবুক জুড়ে
উন্মুক্ত খেলার মাঠে কাটাকুটি খেলা চলে স্মৃতির বিচ্ছেদি সবুজ ঘাসে।
রুপালি গিটারের তার ছুয়ে পাচলাইশে লাশকাটা ঘরে চলে ইতিহাসের যত ব্যবচ্ছেদ —
নাড়িছেড়া সংলাপেরা বাস্তবতার ছুরিকাঘাতে নিহত হৃদয়ে ছন্দ তুলে যখন তখন
তবু সি আর বি ঘিরে চলে রক্তমাখা জিহবার আস্ফালন
নীল আলোকে সাদা ঝলকে উছলে উঠে অবিনাশি সুখের বন্ধন।
কাটা যন্ত্রনার পরিত্যক্ত বিছানায় আবেগগলিত নবজাতক চিতকার করে বলে,
এই অবৈধ মিথ্যে অপবাদের আগামি আমি নই
এসো সবাই মিলে এই বঙ্গবন্ধু মুর্যালে দাঁড়িয়ে বলি
আর নয় তত্বীয় সব জ্ঞানের হিজিবিজি পৃষ্ঠার বন্দি আয়ুর মেকি হাসির বিশুদ্ধতা
নীলক্ষেতে পুড়ে যাওয়া স্বপ্ন আর আশার ধোয়ায় ছাই উড়িয়ে…
এসো ওয়ার সিমেট্রির নীরবতায় সাদা এপ্রনে লিখি অভুক্ত ছিন্ন বিচ্ছিন্ন জীবিকার কথা।
কলমে না হউক রক্তের কালিতে
বীরউত্তম শাহ আলমের নন্দিত বাহুর নাগালে
জেগে থাকা ভাষা শহীদের নির্ভেজাল অস্তিত্বের সোপানে
একচিলতে মধ্যমায় অবশিষ্ট শেষ বিকেলের অন্তিম ইচ্ছের আলোটুকু পুরে।
@আসিফ রহিম