রিয়েল লাভ স্টোরি – জীবন নামের রথ যাত্রা… (পর্ব-১)

Photo of author

By Rehana Parveen Jolly

একটা কল আসে ল্যান্ড ফোনে, দৌড়ে গিয়ে রিসিভ করে মেয়েটি। ওপাশ থেকে প্রশ্ন, “তুমি আজ দুই বেণী করে কলেজে গিয়েছ, তাই না?” মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে বান্ধবীদের সাথে গল্প করতে করতে চলে যাও – খুব ভালো লাগে দেখতে। লজ্জা ও ভয় দুটোই একসাথে মেয়েটিকে ঘিরে ধরে। কারণ সময়টা ছিল নব্বই দশক, কাহিনী সে সময়কার। ওই সময়টাতে কেউ ফলো করছে, এটা বেশ ভয়ের ব্যাপার ছিল। মেয়েটি মনে মনে ভাবে, কে এই মানুষ? কলেজ যাওয়ার পথে মেয়েটির ভেতরে ভেতরে কেমন যেন অস্বস্তি কাজ করে। চারিদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে, কোনো চোখ জোড়া তাকে ফলো করছে কিনা। না! খুঁজে পায় না কাউকে! পরের দিন ফোন বেজে উঠলঃ একই সময়ে, সেই একই কন্ঠ।

“আজ লাল জামাটাতে তোমাকে খুব মানিয়েছিল। আর একটু বেশি সময় ছাদে থাকলে আরও ভালো লাগত।“

মেয়েটি এবার সত্যিকারের ভাবনায় পড়ে যায়।

এভাবে প্রতিদিন একই সময়ে ফোন আসে।

মেয়েটি ইচ্ছে করেই ওই সময়টাতে ফোনের আশেপাশেই থাকে। বাসার কেউই সেটা বুঝতে পারে না। ওপাশ থেকে শুনেই মেয়েটি ফোন রেখে দেয়।

এভাবে বেশ কিছু দিন চলে যায়।

আস্তে আস্তে মেয়েটি নিজেকে সাহসী করে তোলে। কথা বলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে সে, এবার ফোন আসলে তার সাথে কথা বলবে।

রাত ৯টার সময় ফোন বেজে উঠতেই…
মেয়েটি – হ্যালো, কে বলছেন? কাকে চাচ্ছেন?
ছেলেটি – হা হা হা হি হি হি।
মেয়েটি- টেলিফোন একটা জরুরী কথা বলার মাধ্যম। এখানে হাসি-তামাশার কিছু নেই, আর আপনি কে? কেনোই বা প্রতিদিন ফোন করেন? আপনার কাজ নেই কোনো? অনেকগুলো প্রশ্ন এক নিঃশ্বাসে ছুঁড়ে দেয়।
ওপাশ থেকে
ছেলেটি -চুপচাপ শোনে।
মেয়েটি – এখন কি হলো? ভয় পেয়ে গেলেন? এতদিন ভেবেছিলেন আমি বোবা, কথা বলতে পারি না? কোনো ভদ্র ছেলে কি মেয়েদের এভাবে ফলো করে? কি ড্রেস পরলো, কিভাবে কলেজ গেল! সত্যি করে বলেন তো, আপনি কাকে চান আর কেনোই বা চান? আপনাকে বলতেই হবে আজ।
ছেলেটি-তোমাকে চাই।
মেয়েটি-কেন?
ছেলেটি- ভালোলাগে তাই।
মেয়েটি- ভালোলাগে কেন?
ছেলেটি- ভালো লাগে, তাই তো ভালোবাসতে চাই।
মেয়েটি- আপনার কি ধারণা ভালোবাসা ছেলের হাতের মোয়া? চাইলেই পেয়ে যাবেন? আর কখনও ফোন দিলে আপনার মাথাটা ফাটাব! মনে থাকবে তো? আর, ভদ্রতা জানেন না? আমি আপনার অপরিচিতা, আমাকে তুমি সম্বোধন করেন কোন সাহসে?
ছেলেটি- চুপ।

পরের দিন ফোন বাজতেই,
মেয়েটি – হ্যালো, কে বলছেন?
ছেলেটি- (নরম কন্ঠে) কাল তো মাথা ফাটাতে চেয়েছিলে! আজ আমার মন খারাপ। আজ আর বকা দিও না, প্লিজ!
মেয়েটি- নাটক তো ভালোই শিখেছেন! সিনেমাতে নাম লেখেন গিয়ে, যান।
ছেলেটি- সত্যি কি তুমি কথা বলতে চাও না আমার সাথে?
মেয়েটি- (সাথে সাথে সোজা উত্তর)… না।
ছেলেটির মন আসলেই খারাপ হয়। এত্ত এত্ত কড়া কথা শুনে ব্যর্থ মন নিয়ে একদিন ফোন করল না ছেলেটি।

মেয়েটি ফোনের আশেপাশে ঘুরঘুর করে। পড়াশুনা ভালো লাগছে না আজ।

যে মেয়েটি পড়াশোনা ছাড়া দুনিয়ার কিছুই বুঝত না, আজ তার একী দশা হল! পঞ্চম-অষ্টম দু’বারই বৃত্তি পেয়ে, এস এস সি প্রথম বিভাগে লেটার সহ পাশ করে কলেজে সদ্য প্রথম বর্ষে পড়ছে। ভাল ছাত্রীর তালিকায় নামও আছে স্কুল,মহল্লা, আত্নীয়-স্বজন সবখানে । মানুষের মতে, মেয়েটি দেখতে শুনতেও বেশ। ক্লাস ফাইভে যখন সে পড়ত, তখন থেকেই প্রেমপত্র আসত, ভিউকার্ড আসত; আর সেগুলো মেয়েটির মা সামলাতো। প্রতিদিন ড্রইং রুম খুললেই চিঠি পাওয়া যেত। এরা ছেলে নামের কলঙ্ক! সামনে এসে বলতে পারবে না কোনদিন। এজন্য মেয়েটি চিঠিগুলোর নাম দিল “বদপত্র”।

আজ একদিন যেন এক বছরের সমান লাগল মেয়েটির কাছে। সে ভাবছে, ওনার কোন নাম্বারও তো নেই। কিভাবে খুঁজে পাবে ছেলেটিকে? চিন্তায় মেয়েটি পাগলপ্রায়।

পরের দিন মন মরা হয়ে কলেজে যায় সে, হাসি-খুশিতে মেতে থাকা মেয়েটির মুখ আজ কালো।

অপেক্ষা করতে করতে ঘড়ির কাঁটা ঠিক নয়টা বাজল। মেয়েটি অনুভব করতে পারল, তার বুকের মধ্যেও ঘড়ির কাঁটার টিকটিক শব্দ।

আজ ফোনের রিং পুরোপুরি না বাজতেই রিসিভার উঠিয়ে প্রশ্ন,
মেয়েটি-“কাল ফোন করলেন না কেন?”
ছেলেটি- আমার জন্য কেউ তো অপেক্ষা করে ছিল না। তাই নিজেকে পরীক্ষা করলাম।
মেয়েটি- শান্ত গলায় কী পেলেন পরীক্ষা করে?
ছেলেটি- কখনও সহ্য করতে পারছিলাম, কখনও পারছিলাম না। কিন্তু তুমি একটা কথা বলো তো, তুমি রিং না বাজতেই রিসিভ করলে যে! তুমি কি অপেক্ষা করছিলে ফোনের?
মেয়েটি- কি বলবে বুঝে পায় না। তবুও বলে, “আমার বয়েই গেছে, হুঁ! মানুষের জন্য অপেক্ষা করতে… ঢং! কি মনে করেন আপনি নিজেকে?
ছেলেটি- তাহলে আর কখনও ফোন করব না, কেমন? তোমার পড়াশোনার ডিস্টার্ব হবে। তুমি একটা নাম্বার লিখে রাখ, কখনও মনে পড়লে কল দিও।
মেয়েটি অনেকটা তাচ্ছিল্য করে নাম্বার লিখল।

রাতদিন পার হয়ে যাচ্ছে। মেয়েটি ক্লাসে অন্যমনস্ক হয়ে থাকে। বন্ধু-বান্ধব সবাই অবাক। সারাদিন অকারণে হেসে কুটিপাটি হওয়া মেয়েটির এমন দশা হল কি করে! বন্ধুদের একই কথা, “কে তোকে ছ্যাঁকা দিয়েছে বল! তারে ছিল্যা কাইট্ট্যা লবন লাগাইয়া দিমু।“
মেয়েটি বলতেও পারে না যে “আমি নিজেই যে নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছি!”
এক সপ্তাহ কেটে গেল… মেয়েটি রাগে জিদে ফেটে পড়ছে। ভাবখানা এমন যে তাকে পেলে জাস্ট লবন মরিচ মেখে অথবা আচারি রাইস করেও খেতে পারে। …না, অতি রাগ অভিমানে রূপ নিল, তারপর আস্তে আস্তে কমতে শুরু করল; ঠিক বরফ যেমনটি গলে। এবার সে লিখে রাখা নাম্বারটা খাতা খুঁজে বের করল। আজই প্রথম দেখল সে নাম্বারটি। মেয়েটির চোখ থেকে দুফোটা জল গড়িয়ে টুপ টুপ করে খাতার উপর পড়ল। যেন অভিমানের মেঘ গুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে।

নাম্বারটি ডায়াল করল। হুম, ধরল কেউ একজন।
মেয়েটি -আস্সালামু আলাইকুম। (কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না! উনার নামও তো জানে না।) কয়েকদিন আগে একজনকে ফোন করতেন, আমি সে।
ছেলেটি- আপনি কি কোনো পেশেন্ট?
মেয়েটি রিসিভার রেখে দিল। অপমান… চরম অপমান বোধ হল মেয়েটির। একে তো জীবনে প্রথমবার সে কোন ছেলেকে ফোন করেছে; তার ওপর চিনতে পারেনি। লজ্জায় অপমানে মরে যেতে মন চাইছিল মেয়েটির। এক দৌড়ে বাথরুমে যেয়ে জোরে পানির কল ছেড়ে দিয়ে কান্না করল অনেকক্ষণ ধরে৷ মনের সব অভিমান, অভিযোগ শেষ করে হাতমুখ ধুয়ে বের হয়ে আসল। মেয়েটির মনে হতে লাগল তার হাত পা সব অবশ হয়ে আসছে। যেন আর কখনওই সে সুস্থ হতে পারবে না ।এভাবেই মেয়েটির সব চলছে, কলেজ, প্রাইভেট পড়া – কিন্তু কিছুতেই তার মন নেই।

মেয়েটিকে বাসায় যে ছেলেটি পড়াত,সেও একদিন কমপ্লেন করে বাসায়। মেয়েটির পড়াশোনায় মন নেই। সে বুয়েটে ইলেকট্রিক্যালে তৃতীয় বর্ষে পড়ছিল। বুয়েটে এডমিশন টেস্ট এ ষষ্ঠ হয়েছিল। বেশ পছন্দ করত মেয়ে টিকে। একদিন মেয়েটিকে প্রোপোজ করে বসে। সে চলে যাবার পর মেয়েটি খুব কান্না করে। বাসায় বলে, আর এই টিচারের কাছে পড়বে না। ভাইবোনেরা মেয়েটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। “তোমার কপাল গুণে এমন ছেলে তোমাকে প্রোপোজ করেছে। যা হোক ওকে আমরা বুঝিয়ে বলে দেব এমন কথা যেন না বলে। ও ভাল ছেলে, আর কখনও তোমাকে কিছু বলবে না।“ তারা কি বলেছিল মেয়েটি জানে নি……ওই ভাইয়া এরপর কখনও আর কিছু বলেনি মেয়েটিকে।
এদিকে মেয়েটি ফোনের অপেক্ষায় ক্লান্ত। পড়াশোনা করে ফোনের আশেপাশে বসেই। কেউ ফোন করলেই ফোন রিসিভ করা ওর একটা নেশায় পরিণত হয়ে গেল। এক সপ্তাহ পর ঠিক আগের সময়ে রাত নয়টায় ফোন বেজে ওঠে।

মেয়েটি- (সালাম দিয়ে) কে বলছেন আপনি?
ছেলেটি- অনেকদিন আগে একটা মেয়েকে ডিস্টার্ব করতাম, আমি সে।
মেয়েটির ইচ্ছে হয় তার কষ্টের কথা সব বলে ফেলতে। কিন্তু বললে আত্মসম্মান টাকে বুড়ো আঙুল দেখানো হবে যে!
মেয়েটি- আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন? ফোন করলেন না কেন?
ছেলেটি- আমার একটু কাজ ছিল তো তাই গ্রামে গিয়েছিলাম। তুমি কী করছিলে?
মেয়েটি- বায়োলজি পড়ছিলাম। আমার মায়ের ইচ্ছা আমি মেডিকেল সায়েন্স পড়ব। আমার ইমিডিয়েট বড় ভাই বুয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে। এজন্য আমাকে…
ছেলেটি – বায়োলজি কোন চ্যাপ্টার পড়ছিলে?
মেয়েটি- কেন? আপনি কি সায়েন্স পারেন?
ছেলেটি- একটু আধটু পারি। তোমার সমস্যা হলে আমাকে বোলো, কেমন?
মেয়েটি- জ্বী আচ্ছা। আবার ফোন দিবেন তো?
ছেলেটি- তোমার ভয়েই তো ফোন দেই না। মাথা ফাটিয়ে দাও আবার যদি!
মেয়েটি- না, আর কিছু বলব না। ভাল হয়ে গিয়েছি এক সপ্তাহে। হিহি!
এই প্রথম হাসল মেয়েটি ছেলেটির সাথে।ছেলেটির প্রাণের মাঝে বসন্তের বাতাস বয়ে গেল। মেয়েটির মনে অভিমান, ছেলেটি তাকে প্রতিদিন কলেজ যাওয়া-আসা দুই সময়ই দেখে, মেয়েটি তাকে দেখেনি! পড়াশোনা করে কি না কিছুই জানে না।

একদিন,
মেয়েটি – আপনার লজ্জা লাগে না প্রতিদিন আমায় চুরি করে দেখেন?
ছেলেটি – তুমি আমাকে দেখলে আর কথা বলবে না আমার সাথে।
মেয়েটি- আমি আপনাকে দেখতে চাই।
ছেলেটি- কলেজ যাবার পথে কদম গাছটার নিচে আমি দাঁড়িয়ে থাকব। তুমি দেখে চলে যেও।
মেয়েটি- আচ্ছা।

রাত থেকে মেয়েটির প্রচন্ড জ্বর। ঘুম ভাঙল বেলা দশটায়। কলেজ সকাল আটটা থেকে। হারম্যান মেইনার কলেজ। গেট বন্ধ হয় জাস্ট টাইমে। এক মিনিট পরে কারো সাধ্যি নেই রিকোয়েস্ট করার। নিলুফার মাহমুদ প্রিনসিপাল ম্যাডাম। ছেলেটি ভেবেছে, সে হয়ত মিস করে ফেলেছে মেয়েটিকে। এজন্য সে ছুটি পর্যন্ত একভাবে দাড়িয়ে রোদ ঝড় বৃষ্টি মাথায় করে অপেক্ষা করে চলেছে।

রাতে ফোন দিয়ে,
ছেলেটি- (নির্লিপ্ত কন্ঠে) তুমি কলেজ যাওনি আজ?
মেয়েটি- জ্বর ছিল অনেক।
ছেলেটি- খারাপ লাগছে! তুমি রেস্ট করো।

পরদিন থেকে ছেলেটিরও জ্বর, কদম গাছের নিচে ভেজার কারনে।
মেয়েটি- বলে, “তাহলে আমি আর আপনাকে দেখতে পাবো না কোনদিন?” তুমি একটু সুস্থ্য হয়ে নাও। তারপর দেখা করব। আমাকে দেখার পর তুমি তো আর কথা বলবে না আমার সাথে। আমাকে দেখে তোমার ভালো লাগলে তুমি কল দিও, আমি আর কখনও তোমাকে কল দিব না।“

কিছুদিন পর…….
দুজনের কথা হলো, বায়োলজি টিচারের বাসায় পড়ে আসার পথে দেখা হবে। মেয়েটি বলেছিল, “কথা বলবেন না আমার সাথে। কেউ দেখে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যাবে!”

মেয়েটিকে একা হাঁটতে দেখে ছেলেটি পাশে পাশে হাঁটতে শুরু করল, মেয়েটি এক নজর তাকিয়ে সাথে সাথে চোখ নামিয়ে, “এ্ই রিকশা, যাবেন?” বলে একদৌড়ে রিক্সায় উঠে বসল; অনেকটা ভয় নিয়ে। ছেলেটি বলল, “একটু থামো!” ছেলেটি দৌড়ে রিক্সা থামিয়ে বলল, “তোমার জন্য একটা বই; হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা, তোমাকে।“
– এটা বাসায় নিলে সবাই দেখে ফেলতে পারে, বই নিতে পারব না।
– তোমার বইয়ের ভিতর লুকিয়ে রেখ।

বইটার ভিতরে লেখা “তোমাকেই ভালোবেসে”। মেয়েটি বাসায় যেয়ে লুকিয়ে একা একা কাঁদে। আর ভাবে, এ কেমন ছেলের কাছে তার মনটি আটকে গেল? মেয়েটি নিজের সাথে যুদ্ধ করছে, নিজ হৃদয়কে মিথ্যা প্রবোধ দিচ্ছে,মনকে মানাতে পারছে না। কত সময় পার হয়ে গেল, কখনও সহ্য করতে পারছে, কখনও পারছে না। এভাবে কাটল কয়েকদিন।
এরপর সেই নয় টার সময় একটা ফোন আসল। ছেলেটির বন্ধুর ফোন। উনি যখন পরিচয় দিলেন ছেলেটির বন্ধু বলে, মেয়েটি ভাবে, নিশ্চয়ই ছেলেটির খারাপ কিছু হয়েছে। মেয়েটি খুব ক্ষীণ কন্ঠে বলে, “উনি কি বেঁচে আছেন?” বন্ধুটি বলে, “মরার মতই বেঁচে আছে। মেয়েটির ইচ্ছে হচ্ছিল চিৎকার করে কাঁদতে; কিন্তু পারেনি।

বন্ধুটি বলে, “তোমার এত অহংকার কেন? তুমি মানুষের মন বোঝ না? ও একটা ডাক্তার ছেলে, বুঝতে পেরেছ? তুমি ভেবেছ কি? এতদিন কথা বললে এমনিতেই তো মানুষের মায়া হয়ে যায়।“

মেয়েটি বলল, “না ভাইয়া, সময় পাইনি তো তাই।“ বন্ধুটি বলল, “এই নাও কথা বলো।“
মেয়েটি লাইন টা কেটে দিল।

এবার মেয়েটি কল দিয়ে বলল, “ডাঃ জুলফিকার হোসেন খান কে চাচ্ছি।“
উনি বললেন, “আপনি কে?”
মেয়েটি বলল, “আমি জলি।“
উনি বললেন, “কোন জলি তুমি যেন? আমার একটা পেসেন্ট ছিল জলি নামের… দুজনেই হেসে ওঠে। নিস্তব্ধ রাতও যেন ওদের হাসিটুকু উপভোগ করে। রাতের চাঁদ তারারাও ওদের হাসির সাক্ষী হয়ে রয়।
শুরু হলো প্রেমের পথ যাত্রা। জীবন নামের রথ যাত্রা…

চলবে…