কড়িকাঠে বসেছিল নিরীহ চড়ুই
ঠোঁটে নিয়ে টুকরো শুকনো খড়,
ওদিকে কাঠ ফাটা রোদ
উঠোনের মাটিতে চিড় ধরেছে নিখুঁত,
গরুর শিং এ বসে সারা মাঠ ঘুরছে শালিক,
বুদ্ধি বটে ,,, টিনের চালে মৃত পাতাদের খুঁটি নাটি
দুটো ঘুনে ধরা কাঠের ফোকরে চড়ুইটা বাসা বানাচ্ছে,
বহুদূর হেঁটে গেলে জেলে পাড়া
রাস্তাটা ঘুরে গ্যাছে ডানে,
আরো খানিকটা গেলে পাঁজর ভাঙা কষ্ট নিয়ে
পুরোনো ইস্কুল ,, ক্ষয়ে যাওয়া চালা দোমড়ানো বিড়ির প্যাকেট ,,
ছেঁড়া আধময়লা বাংলা ব্যাকরণ বই ,,
কারক,বিভক্তি,সমাস …
তোকে লিখে কি লাভ?
তুই সমুদ্রে গেলে সমুদ্র হয়ে যাস
পাহাড়ে গেলে স্থানু ,,,
মনে করে, মনে রেখে কেবল বোকারাই কষ্ট পায় !!!
যে চড়ুই দুটো ঘর বাঁধছে আমার ঘরে
ওদের নাম চুনি আর পান্না ,,
সারা দুপুর ওরা ব্যাস্ত থাকে ,,
আমারি কেবল দিন কাটে না
আমার কোনো গন্তব্য নেই অনন্ত,
খুঁটির সঙ্গে ঝুলে থাকা ধুলো মাখা হলদে ছবিগুলোর ভেতর
তোর মুখটা অস্পষ্ট
আমি সেখানেও নেই ,,
প্রায় কুড়ি বছর আগে সেই দেখা, তারপর !!!
অনন্তের দিন রাত্রী আমাকে নিংড়ে নিচ্ছে রোজ
তুই জানতি , যেমনি অন্য সকলে জানে ,,
জোয়ারের জলে ভেসে আসা কচুরিপানা
ভাটার টানে আবার ভেসে যায়,
পাল্লা ভাঙা বইয়ের আলমারিটা অমনি আছে
আর বুড়ো অশোকের কোটরে অন্ধকার ,,,
তুই চলে যাবার পর এ সবি আছে ,,,
যা নেই তা নেই,
তার কথা না হয় অন্য দিন বলবো !!!