দাউ দাউ জ্বলে ওঠা কী সহজিয়া,
জলের ভেতর জল পোড়ে, মানুষটিও পোড়ে।
কী চমৎকার প্রণয়,
জল পোড়ে, জ্বলে আগুন, উষ্ণতা নেই, দাহ নেই,
জ্বলে আগুন, পোড়ে জল, জ্বলে সৃষ্টির ইতিহাস।
কবি পোড়ে, কবিতা পোড়ে —–
কবিতা পোড়ে, কবি পোড়ে —–
ছাই নেই, কোনো স্বাক্ষী নেই, শব্দহীন লাশের বৃত্তান্ত।
কবি পোড়ে, কবিতা পোড়ে, শব্দরা জেগে থাকে,
মাতম খেলে নিঃসঙ্গ বারোয়ারি জীবনের সাথে।
গল্প ফুরোয়, ফুরোয় জাগতিক জীবন
ভুল মন্ত্র,ভুল উচ্চারণ,ভুল তথ্য,
বেশুমার ভুল অবাধ্য উত্তেজনায় ভাঙচুর করে।
হৃদ পিণ্ডের থেঁতলে যাওয়া ছোপ ছোপ রক্তের অন্ধকার।
জলহীন আকাশ, নির্মেঘ বসন্ত,
শরীরে থৈ থৈ নদী, বুকে দারুণ তৃষ্ণা,
নির্বাসিত যৌবন।
জল নেই, ছায়া নেই,স্থির নদী পথ।
দহনের তীব্র দাহ, উপেক্ষায় দুঃস্বপ্নের বসবাস
আহা!আর কতদূর, আর কতো অপেক্ষা
নিজের সাথে নিজের দ্বন্দ্ব, নিজের যুদ্ধ।
ভালোবাসার নির্মোহ মোহর ভেঙে ভেঙে সমর্পণ করি,
সমর্পিত করি নিজেকে গোপনে, গোপনে,
গোপন দুঃখ বিলাসে
ঢেউহীন উত্তাল অলকানন্দা,
স্বপ্নের সিঁড়ির ধাপে দু’জন একান্তে –মুখোমুখি
ঠোঁট পেতে রেখে উদাস দৃষ্টি
মধ্যিখানে দাঁড়িয়ে থাকে নিঃসঙ্গ অন্তহীন ব্যবধান।
মাহবুবা আখতার
তারিখঃ ১০.০৩.২০২২খ্রি।
ঠাকুর গাঁও