প্রথমে, অর্থাৎ আদিতে
তোমার চোখের রঙ ছিলো তমশা নিবীড় রাত্রীর মতো, আমি সহজেই হাড়িয়ে যেতাম!
তোমার বুক থেকে যমজ শুভ্র পায়রারা উড়ে গেলে
সারা শহর জুড়ে রোদের আল্পনা
নরম তোয়ালে কি সৌভাগ্য তার
পাঁজরের বাঁকা হাড়ের আগেই সে ছুঁয়েছে তোমায়!
অগত্যা নিষিদ্ধ ফলের গাছে
দুজনার নাম তুমি যোগ আমি
অবেলায় বুনো গোলাপ দিলো কাঙ্খিত ঠিকানা
সুখের নিবন্ধন হলো একজোড়া
তিমির রাত্ৰীর মতো চোখের কাছে,
হলদে ফুলের গায়ে হলদে প্রজাপতি
এর আগে দেখিনি কোথাও
কোথাও দেখি অমন জয়জয়ন্তীর আলাপের মতো
নিখুঁত কোমল ঠোঁট, গ্রীবার লাস্য!
আদিতে ফিরে গেলে নির্ঘাৎ তোমাকেই,
এই তোমাকেই চাইবো নিশ্চিত সেজদায়
এক পলকের একটু চাওয়া
সেলুলয়েড ফ্রেমে বন্দি মুহুর্মুহু সেতার বেজে ওঠে,
যদি সত্যি তোমায় পাই
বাঁধবো আহীর ভৈরবীতে
সাজাবো যখন তখন শুক্লা চতুর্দশী
সারেঙ্গিতে পেসিমিস্টিক বেহাগ খুব মানাবে !
আমার সঙ্গে আনন্দ ঠিক মানায় নাতো,
যেটুকু মানায় তা ওই শ্বাস কষ্ট
পনেরো দিন অন্তর রক্তে আগুন
ক্রমশই কৃষ হয়ে যাওয়া আর শূন্য বুকের ভিটে!
ঘর কি যায়গো বাঁধা কেবল কথার ইটে?