ভালোবাসি শব্দটা এতটা শ্রুতি মধুর! আমি জানতাম না। বিশেষ করে যদি তা নিজের ব্যক্তিগত মানুষটির মুখনিঃসৃত হয়।
আরহানের মাত্র বলা ‘ভালোবাসি’ কথাটির দরুন খেই হারিয়ে ফেলেছি আমি। এতক্ষণের লজ্জাবতী এই আমিটা হুট করেই সব ভুলে বলে দিলাম,“আমিও ভালোবাসি। ভীষণ ভালোবাসি।”
মুহূর্তেই পুনরায় চুপ মেরে গেলাম। চোখ নিচে নামিয়ে ফেললাম। আরহান আমাকে ছেড়ে সামনে এসে দাঁড়ালেন।
“হঠাৎ এভাবে সাজলে যে!”
আরহানের প্রশ্নের কোনো জবাব নেই। কি বলবো আমি? কেনো সেজেছি? গালে লাল আভা দৃশ্যমান। আরহান বুঝে গেলেন।
হেসে বললেন,“লজ্জাবতী বউ কিন্তু আমার ভীষণ পছন্দ। ইচ্ছে করে, এভাবেই দেখে যাই তাকে।”
অজ্ঞাত কারণবশত আমি আরহানের এমন কথা নিতে পারি না। কেমন যেনো হাঁসফাঁস লাগে। বুকের ভেতরের এই ‘হৃদপিন্ড’ নামক বস্তুটি নিজের উপস্থিতি বোঝানোর জন্য সর্বস্ব দিয়ে কম্পিত হয়। ভেবে রাখা শব্দ সব আওলিয়ে যায়। বাক্য মেলাতে পারিনা। এগুলো কেনো হয়?
কিছুক্ষণ সময় নিয়ে নিজেকে ধাতস্থ করলাম। তৎক্ষণাৎ আরহানের পুনরায় এরকম কথা শোনার আগেই প্রসঙ্গ এড়াতে বললাম, “কোথায় গিয়েছিলেন?”
আরহান চুপ থাকলেন। খানিকক্ষণ বাদে বললেন,“তোমার ছোট খাটো সব ইচ্ছে পূরণের দায়িত্ব নিয়েছি। এবার পাওয়া না পাওয়া সব ফিরিয়ে দেবার দায়িত্ব নিলাম।”
__________________________
নিজ রুমে বসে নিশা আধা ঘন্টা যাবৎ কেঁদেই যাচ্ছে। কেনো কাঁদছে তা অজানা ওর কাছে। শুধু একটা জিনিসই জানে, তার বুকের মধ্যেখানে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। হয়তো কিছু না পাবার হাহাকার এটা।
এমন সময় তার ফোন বেজে উঠলো। হাতে নিয়ে দেখলো, স্ক্রিনে ‘রাহা’ নামটা ভেসে উঠেছে।
রিসিভ করে কানে তুলতেই ওপাশ থেকে রাহা বলে উঠলো,“আজ কলেজে আসিসনি কেনো?”
নিশা কাঁদতে কাঁদতেই বললো,“কিছু ভাল্লাগেনা রে বইন। প্রেম করার আগেই ছ্যাকা খাইয়া গেলাম গা রে।”
“তোর আবার কি হলো?”
“কি হয়নাই এইটা বল। জিবনডা তেজপাতা হইয়া গ্যাছে রে বইন।”—বলেই নিশা আবারও ন্যাকা কান্না শুরু করে দিলো।
রাহা এবার ধমকের শুরে বললো,“বেশি ঢং করলে ফোন রেখে দেবো। ফটাফট বল কি হয়েছে?”
নিশা কান্না থামালো। মুখশ্রী ভাব গম্ভীর হয়ে গেলো। কণ্ঠস্বরে কিছুক্ষণ আগের ন্যাকামির রেশ মাত্র নেই। অনুভূতিহীন গলায় বললো,“জানিনা।”
“জানিস না মানে?”
“সমস্যাটা কী এটা জানলে সমাধান অনেক আগেই বের করে ফেলতে পারতাম।”
“সিরিয়াস কিছু নাকি?”
“হ্যাঁ!”
“তুই ঠিক আছিস নিশু? শরীর ঠিক আছে তোর?”
“না। অসুখ করেছে আমার।”
“মানে? কী হয়েছে?”
“প্রেমময়ী এক অসুখে গভীর ভাবে আক্রান্ত আমি। এই অসুখের নিবারণ তখনই হবে, যখন সে….”
নিশা থমকে যায়। রাহা, নিশাকে থেমে যেতে দেখে প্রশ্ন করে,“যখন?”
“কিছু না। কারণ সে আসবে না। ভালোবাসার রোগাক্রান্ত আমি। একতরফা ভালোবাসার।”
________________________
মিসেস শেফালী অফিস থেকে ফিরে সোজা নিজের রুমে চলে গেলেন। ড্রইং রুমে দীপ্তি বসেছিলো। তার মাকে এমন ভাবে যেতে দেখে দীপ্তি ও ছুটলো তার পিছু পিছু।
মিসেস শেফালীকে কিছু খুঁজতে দেখে দীপ্তি পেছন থেকে প্রশ্ন তুলে,“কী খুঁজছো মা?”
মিসেস শেফালী দ্রুত পেছন ফিরে দেখেন, দীপ্তি দাঁড়িয়ে। ব্যস্ত ভঙ্গিতে শুধালো,“আমাকে একটু স্পেস দে বাবুন।”
দীপ্তি “আচ্ছা মা” বলে প্রস্থান করলো। মিসেস শেফালী গিয়ে দরজা লক করে পুনরায় খোঁজ করা শুরু করলেন। ফাইনালি পেলেন। ডায়েরিটা পেলেন। সেদিন দীপ্তি যেই ডায়েরি হাতে নিয়েছিল, এটা সেটাই।
বসে পড়লেন তিনি। একটা কলম তুলে নিলেন। ডায়েরির বেশ কিছু জায়গায় অভিমান মিশ্রিত বাক্য ছিলো। সবগুলো কেটে যাচ্ছেন তিনি। একটা একটা করে এমন ভাবে কাটছেন, যাতে কি লেখা ছিলো তা বোঝা না যায়।
বার বার অস্থির ভঙ্গিতে অস্পষ্ট স্বরে বলে যাচ্ছে,“আমি দুঃখিত। আমি অনুতপ্ত। তোমাকে ভুল বোঝার জন্য আমার আঠারোটি বছর অভিশপ্ত।”
পুনরায় স্মৃতিচারণ করা শুরু করলো আজ দুপুরে আরহানের বলা সেই কথা গুলো।
আরহান বললো,“আপনি যা জেনেছেন তা আংশিক সত্য। আর আংশিক সত্য,পুরো মিথ্যের চেয়ে ভয়ংকর।”
মিসেস শেফালী চকিতে চাইলো আরহানের পানে। অবাক ও বিস্মিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,“মানে?”
“প্রতিটা কাহিনীর দুটো পাতা থাকে। একটা সেটা, যেটা আপনি দেখছেন। আর অন্যটা সেটা, যেটা আপনার চক্ষুগোচর।”
পুনরায় আরহান মিসেস শেফালীর ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকা নয়নের পানে তাকিয়ে বললো,“অন্যটা আমি আপনাকে বলছি….
মিসেস মনিরা, বাসেদ আহমেদের প্রাক্তন ছিলেন। এটা সত্যি ছিলো যে, সে একসময় তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে ভালোবাসতেন এবং তাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাননি।
কিন্তু মিসেস মনিরা বড়লোক ঘরের প্রস্তাব পেয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। আর এদিকে বাসেদ আহমেদ দেবদাস থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর আপনার বাবার আর বাসেদ আহমেদের বাবার বন্ধুত্বের রেশ ধরে জোরপূর্বক আপনার সাথে বিয়ে দেয়। অতঃপর সে মুভ অন করতে সক্ষম হয়।আপনার প্রতি তার ভালোবাসার বিন্দুমাত্র মিথ্যে ছিলো না। দ্বিতীয় বার যেভাবে ভালোবাসা যায়! ঠিক সেভাবে আপনাকে ভালোবেসে ফেলে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে দিব্যি চলছিলো তার জীবন।
নয় বছর পর একদিন শোনা যায়, মিসেস মনিরার হাসব্যান্ড দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মিসেস মনিরা একটা মাত্র সন্তানকে নিয়ে একাকী জীবন কাটাতে না চেয়ে পুনরায় বাসেদ আহমেদের জীবনে ফিরে আসতে চেয়েছেন। এতে বাসেদ আহমেদ আপনার ও আপনাদের মেয়ের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে, মিসেস মনিরার প্রস্তাব নাকচ করেন।
এরপর মিসেস মনিরার টার্গেটে পড়ে যান আপনি। সে চেয়েছিলো আপনার কানে বাসেদ আহমেদের নামে বিষ ঢেলে আপনাকে রাস্তা থেকে সরাবে।
কিন্তু সে ব্যর্থ হলো। অবশেষে পরিকল্পনা করে আপনাকে শুধু রাস্তা থেকে না, দুনিয়া থেকে সরাবার।
সেদিন আগে থেকেই আপনার উপর নজর রেখেছিলো মিসেস মনিরা। আপনি সেই রাস্তা অতিক্রম করবেন যখন, তখন সামনে এসে যায়।
বাকি কাহিনী আপনার জানা নিশ্চয়ই। তারপর আপনার গাড়িটা, মিসেস মনিরা হালকা ধাক্কিয়ে একদম খাদের পাশে এনে রাখে এবং ড্রাইভিং সিটের দরজাটা খুলে রাখে।“
এটুকু বলে আরহান থামলো। মিসেস শেফালী বললো,“বিয়েটা?”
“বলছি…”
“হুঁ…”
“সেদিন আপনার বাড়িতে না পৌঁছনোর কারণে অনেক খুঁজেছে সবাই আপনাকে। অবশেষে পাহাড়ি রাস্তায় আপনার গাড়ি একদম খাদ ঘেঁষে রাখা দেখে সবাই আন্দাজ করে নেয় আপনার এক্সিডেন্ট হয়েছে। পুলিশ বলে, যদি আপনি বেঁচে থাকেন তবে আপনার বডি পাওয়া যাবে। কিন্তু বডি পাওয়া যায়নি, তাই ধরে নিয়েছে পাহাড় থেকে পড়ে গিয়েছেন। আর সেখান থেকে বেঁচে ফেরা অসম্ভব।
বাসেদ আহমেদ পাগল প্রায় হয়ে গিয়েছিলো। অবুঝ বীনিও সেদিন আপনার অপূর্ণতায় গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে কেঁদেছে। আপনি ছিলেন না। বাসেদ আহমেদ এমনিতেই ভেঙ্গে পড়েছিলেন। তন্মধ্যে বীনিকে সামলানো তার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিলো। সেই সুযোগ কাজে লাগালো মিসেস মনিরা।
বাসেদ আহমেদের নিজের মেয়ের জন্য একটা মা আর মিসেস মনিরার একটা সংসার প্রয়োজন ছিলো। অতঃপর আপনার যাবার কিছুদিন বাদেই ও বাড়িতেই চলে আসেন তিনি।
মাস খানেক ওভাবে থাকার দরুন বাড়ির বাইরের লোক নানা ধরনের গুজব রটাচ্ছিলো। যেহেতু তাদের বিয়ে হয়নি, তাই এটা স্বাভাবিক। জোরপূর্বক তাকে বিয়েটা করে নিতে হয়।
আর সেদিনই আপনি এসেছিলেন।”
“মানে আমার বীনু ওখানে ছিলো?”
“হুঁ…”
“মনিরা ওর কোনো ক্ষতি করেনি? মেয়েটা কেমন আছে আমার?”
আরহান বাঁকা হাসলো। পরপর চোয়াল শক্ত করে বলা শুরু করলো,“প্রথম কয়েকদিন ভালো মতোই ব্যবহার করেছিলো। এরপর ধীরে ধীরে শুরু হয়ে যায়। সৎমায়ের নির্যাতন বোঝেন? সেরকম।
প্রথম কয়েকমাস বীনি তার বাবার ভালোবাসায় নিজের মায়ের অপূর্ণতা বোঝেনি। তবে পুরুষ মানুষ তিনি। ধীরে ধীরে সে নারীতে ঝুঁকে যায়। হাজার হোক, প্রথম ভালোবাসা তো!
মিসেস মনিরার প্রায় সব কথা তখন বাসেদ বিশ্বাস করা শুরু করেন। এমতাবস্থায় সে বাসেদ আহমেদের ব্রেইন ওয়াশ করে। তাকে বোঝায়, আপনার মৃত্যুর জন্য বীনি দায়ী। সেদিন যদি আপনাকে জোর করে ওর মামার বাড়ি নিয়ে না যেতো, তবে হয়তো আপনি তাদের সাথে থাকতেন।
এসব কথা বিশ্বাস করে মেয়ের প্রতি অবহেলা শুরু করে দেন উনি। আর বীনির প্রতি নির্যাতন শুরু হয়ে যায়।
রহিমা খালাকে কোনো কাজ করতে দিতেন না। বাচ্চা বীনিকে দিয়ে সব কাজ করাতেন। এজন্য ওর স্কুল এডমিশান ও অনেক দেরিতে হয়ে যায়। বীনির বাবার জোরাজুরি আর মামার হুমকিতেই পড়া লেখা করতে দেন।
মা হীনা এক মেয়ের সাথে কি কি ঘটতে পারে, তার সবটাই ঘটেছে ওর সাথে।”
কথাগুলো শুনে মিসেস শেফালির চোখ দিয়ে অজান্তেই অশ্রুপাত হচ্ছে। সে জানতো না এরকম কিছু। কিন্তু, না চাইতেও সে তার মেয়ের জীবনের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরহান মিসেস শেফালীকে শান্ত হতে বললো। তখন মিসেস শেফালী প্রশ্ন তুললো,“এসব ঘটনা আপনি কি করে জানেন? বিশেষ করে আমার বীনুর ব্যাপারে?”
আরহান হালকা হেসে বললো,“কারণ আমি বীনির লিগ্যাল হাসব্যান্ড।”
মিসেস শেফালী চমকিত হলেন। আরহান আবারও বললেন, “বীনিকে আমি পছন্দ করি দুইবছর ধরে। কিন্তু একটা সমস্যার কারণে তৎক্ষণাৎ বিয়ে করতে পারিনি। সমস্যার রেশ কাটিয়ে উঠার পর যখন বিয়ের প্রপোজাল পাঠাই, তখন না করে দেয় মিসেস মনিরা।
ঘটনার আগা গোড়া বুঝতে না পেরে সেদিনই খোঁজ চালাই। পাড়া প্রতিবেশী ও পুরনো মেইড, রহিমা খালার কাছে। উনাকে খুঁজতেও অনেক সমস্যা হয়েছিলো। এরপর প্রতিবেশীর কাছে কিছু ঘটনা জানি, আর বাকিটা রহিমা খালার কাছে। শুনেছি আপনার চলে যাবার বছর যেতে না যেতেই ব্যবসায় বিশাল বড় লস খান বাসেদ আহমেদ। এতে করে, বাসেদ আহমেদ তার এতো বছরে গড়ে তোলা নিজস্ব সব প্রপার্টি হারিয়ে ফেলেন। বাদ বাকি বেচে ছিলো তার পৈতৃক সম্পত্তি, যার একাংশও তার নামে ছিলো না।
তবুও একটা ঘটনা আমার কাছে ক্লিয়ার ছিলো না। যদি বীনিকে তারা বোঝাই মনে করে, তবে বিয়ে দিয়ে দিলেই তো পারে। কেনো দিতে চায়নি? এজন্য আরো খোঁজ লাগিয়ে দেখি, আপনার শ্বশুর মশাই, তার সম্পত্তির সবটাই আপনার নামে উইল করে গিয়েছেন। এবং আপনার অবর্তমানে তা আপনার মেয়ে, তার পঁচিশ তম জন্মদিনে পাবে। এই পদক্ষেপ নেবার পেছনেও একটা কাহিনী ছিলো। সেটা হচ্ছে, বাসেদ আহমেদ আপনাকে বিয়ে করতে চায়নি। জোর করে বিয়ে দেবার দরুন যাতে আপনার সাথে কোনোরূপ অনাচার করতে না পারে, এজন্য তার প্রপার্টি সব আপনার নামে লিখে গিয়েছেন।
এজন্য মিসেস মনিরা আর যাই করুক, বীনিকে মারেনি বা অন্য কিছু করেনি।
এরপর আমি যেদিন তার কুকর্মের কিচ্ছা-কাহিনী জানতে পারি, সেদিনই মিসেস মনিরা আর তার আদরের মেয়েকে ছোট্ট একটা পানিশমেন্ট দিই। তবে তারা আরো ডিসার্ভ করে।
কয়েকদিন যেতেই সব ঘটনা পরিষ্কার হয় এবং আমি জানতে পারি, সেদিন অনেক খোঁজার পরও আপনার বডি পাওয়া যায়নি। কৌতূহল দমাতে না পেরে আমি সেদিনের সব ঘটনা জানার চেষ্টা করি। তখন আমি জানতে পারি, আপনি বেঁচে আছেন এবং আমি আপনাকে খোঁজা শুরু করি। তখন বীনিকে আমি বিয়ে করে নিই। তাদের পারমিশন ছাড়াই। ঐ ফ্যামিলিতে রাখার আর ইচ্ছে হয়নি আমার।
এরপর আপনাকে পেলাম।’’
“আচ্ছা, আমার বীনু এখন কেমন আছে?”
“সুখে আছে।”
মিসেস শেফালী অধরযুগল প্রসারিত করে হেসে বললেন,“আমার মেয়েকে এখন দেখতে পাবো?”
“না..”
আরহানের কথার প্রেক্ষিতে মিসেস শেফালীর মুখশ্রীতে ঘন কালো আঁধারের দেখা মিললো। মিনমিনে কন্ঠে প্রশ্ন করলো,“আমার শাস্তি এটা?”
“না, আমি চাইনা বীনি আপনাকে ভুল বুঝুক। সময় মতো আপনার সাথে দেখা করাবো।” —কথাটি বলেই আরহান উঠে দাঁড়ালো। পুনরায় বললো,“জলদি দেখা হবে আবারও। আসছি।”
এটুকু স্মৃতিচারণ করে মিসেস শেফালী পুনরায় কান্নায় মনোযোগী হলেন। আজ তার একটা ভুলের জন্য তার কলিজার টুকরো মেয়ে, বীনিকে এতো কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।
মুখ ফুটে বলে উঠলো,“আমাকে মাফ করবি তো তুই বীনু?”
চলবে…