অদ্ভুত আসক্তি (পর্ব-২০)

Photo of author

By নবনিতা শেখ

ফটোফ্রেম সামনে রেখে ফ্লোরে বসে আছে তৃষ্ণা। গম্ভীর মুখশ্রী রক্তিম বর্ন ধারণ করেছে। সামনের এই ছবিতে আছে তৃষ্ণার মম, ড্যাড ও তৃষ্ণা। একবার পুরো ছবিতে হাত বুলিয়ে নিলো। অধর যুগল কম্পিত হয়ে বলে উঠলো,“আজ আমারও একটা পরিবার থাকতো। আজ আমিও ভালোবাসা পেতাম। ভাগ্য প্রতিবার আমার সর্বস্ব ছিনিয়ে না নিলেও পারতো।”

দশ বছর আগে…….

একদিন তৃষ্ণা কলেজ থেকে ফিরেছিলো। উদাস মুখ তার। সেদিন কলেজে প্যারেন্টস মিটিং ছিলো, কিন্তু তৃষ্ণার গার্ডিয়ান যায়নি। ওর সব ফ্রেন্ডসদের বাবা মা এসেছিলো। শুধু তৃষ্ণার কেউ যায়নি।

সেদিন ওর মামনি বাড়িতে ছিলো না। দীপ্তির সাথে ওর স্কুলে ছিলো বিধায় বাড়িতে শুধু ওর মম-ড্যাড ও সার্ভেন্টস ছিলো। সার্ভেন্টস সব নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত।

তৃষ্ণার রুমের আগেই ওর মম-ড্যাড এর রুম পড়ে বিধায়, তাদের রুম ক্রস করেই নিজের রুমে যেতে হয়। সেভাবেই যাচ্ছিলো।

হঠাৎ কারো উচ্চ কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়ে পা জোড়া সেখানেই থমকে যায়। না চাইতেও ভেতরের কিছু কথা কানে আসে। ভেজানো দরজার ফাঁক দিয়ে তৃষ্ণা ভেতরে দেখতেই ওর চোখ দুটো বড় বড় হয়ে যায়। নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না তৃষ্ণা।

ওর ড্যাড ওর মমকে থাপ্পড় মারলো। ওর ড্যাড এই জীবনে কোনদিন ওর মমের গায়ে হাত তোলেনি। সেই আজ…

লুকিয়ে কথা শোনা ঠিক না। তবে চমকিত তৃষ্ণা এখন হতভম্ব হয়ে আছে।

ভেতরে ওর ড্যাড, আশরাফ সরকার বললো,“আমি তোমার থেকে এসব আশা করিনি তানিয়া।”

হাতের কিছু ছবি, যেগুলোতে তৃষ্ণার মম, তানিয়ার আর একটা অপরিচিত লোকের অন্তরঙ্গ মুহুর্ত ক্যাপচার করা আছে, সেগুলো মুখের উপর ছুড়ে ফেলে বললো,“এগুলো দেখো। আরো কিছু বলার আছে তোমার?”

অবশেষে উপায় না পেয়ে তানিয়া বলে ফেললো, “হ্যাঁ। এগুলো সত্যি। সব সত্যি।”

সঙ্গে সঙ্গে আশরাফ, তানিয়াকে আবারও থাপ্পড় মারলো।

“ছিঃ! তোমার এতো বড় একটা ছেলে আছে। তবুও?”

“এই তুমি কোন সাহসে আমার গায়ে হাত তোলো? আর আমার যা ইচ্ছে তাই করবো আমি। ইট’স মাই লাইফ।”

“তুমি বাড়াবাড়ি করছো তানিয়া।”

“বাড়াবাড়ি আমি না, তুমি করছো। তোমাকে বিয়ে করার পর থেকে আমার সখ-আহ্লাদ সব ভেস্তে গিয়েছে। আমার জীবনটা নরক হয়ে গিয়েছে। সব কিছুতেই ছেলে ছেলে করো। আমার জাস্ট ঐ ছেলেকে সহ্য হয়না। আমাকে আমার মতো থাকতে দাও তো আশরাফ।”

আশরাফ অবিশ্বাস্য কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,“তুমি কি আদৌ মা? কি করে নিজের ছেলেকে নিয়ে এভাবে বলো? বাচ্চা হলে তার দায়িত্ব নিতে হয়, খেয়াল রাখতে হয়, নজরে নজরে রাখতে হয়। এটাকে বন্দী জীবন বলে না।”

“আমার কাছে এটাই বন্দী জীবন।”

“আর এই লোকটার কাহিনী কি? এসব কি তানিয়া?”

“আমি তোমাকে বলতে বাধ্য নই।”

রাগী আশরাফের রাগ তুঙ্গে উঠে গেলো। আর এদিকে তানিয়াও কম না । দুজনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তানিয়া পাশে ফলের ঝুড়ি থেকে ছুরি নিয়ে সোজা আশরাফের পেট বরাবর আঘাত করে। মুহূর্তে এমন আক্রমণের জন্য আশরাফ সরকার পেটে হাত রেখে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে।

দরজায় দাঁড়িয়ে নিজের প্রাণ প্রিয় ড্যাডের এমন অবস্থা দেখে চিৎকার দেয় তৃষ্ণা। তখন তানিয়া মাথা ঘুরিয়ে দরজার সামনে তৃষ্ণাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য তানিয়ার এখন কোনো কিছু খেয়াল নেই। প্রমাণ লুকোনোর তাগিদে হাতের ছুরি নিয়ে তৃষ্ণার দিকে অগ্রসর করে। তৃষ্ণা ওর দিকে এগোতে থাকা তানিয়ার মধ্যে নিজের মমকে নয়, নিজের ড্যাড এর খুনিকে দেখতে পাচ্ছে। যখনই তানিয়া ছুরিকাঘাত করতে যাবে, তখনই তৃষ্ণা ওর পাশের ফুলদানি সোজা ওর মমের মাথায় মারে। সঙ্গে সঙ্গে তানিয়া মাথায় হাত রেখে মেঝেতে পড়ে যায়।

তৃষ্ণা হুঁশে আসে। সতেরো বছর বয়সী তৃষ্ণার নেত্র সম্মুখে এখন ভেসে আছে তার মম ও ড্যাড এর লাশ। সেদিন তৃষ্ণা কান্না করেনি। একটুও না। শুধু বুকটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিলো। সে যে নিঃস্ব হয়ে গেলো। এতিম হয়ে গেলো তৃষ্ণা।

​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​

তৃষ্ণার মামনির বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছিলো। এমনিতে এই বাড়ি নিরব থাকে সবসময়। তবে আজ তার কাছে এই নিরবতাটা ভয়ংকর লাগছে। দীপ্তিকে রুমে দিয়ে সে তৃষ্ণার রুমের দিকে রওনা হলো।

তৃষ্ণার মম-ড্যাডের রুমের সামনে পৌঁছতেই তার পা জোড়া থমকে যায়। খোলা দরজার মুখ বরাবর তাকাতেই এই বিধ্বস্ত পরিবারকে দেখে সে চোখ বড় বড় করে ফেলে। রক্তাক্ত আশরাফ আর তানিয়ার লাশের মাঝ বরাবর তৃষ্ণা পাথরের ন্যায় বসে আছে।

তৃষ্ণার কাছে যেতেই সে তার মামনির দিকে চোখ তুলে তাকায়। নীলাভ চক্ষুদ্বয় ভয়ংকর লাগছিলো। সময় নিয়ে একে একে পুরো ঘটনা খুলে বলে তৃষ্ণা। সবটা শোনার পর, তার মামনি তৃষ্ণার দ্বারা খুন করার ব্যপারের সবগুলো প্রমাণ নষ্ট করে দেয়। অবশেষে সে রাতে পুলিশ এলে বলা হয়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনের জন্য তারা একে অপরকে আঘাত করে। সেদিন তৃষ্ণার, ওর নিজের মমকে খুন করার ব্যাপারে ওর মামনি ব্যতীত আর কেউ জানতে পারে না। ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ধামাচাপা পড়ে যায়।

সেবার খবরের কাগজে ছাপা হয়েছিলো,“বিশিষ্ট শিল্পপতি আশরাফ সরকার, তার সহধর্মিণী তানিয়ার পরকীয়ার ব্যাপারে জানতে পারায়, দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। অবশেষে স্বামী ও স্ত্রী, দুজন দুজনার দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে।”

অতঃপর এতিম তৃষ্ণার জীবনে ওর মায়ের মতো মামনি থাকা সত্বেও, সে চলে যায় বাজে দিকে। নেশা দ্রব্য তার নিত্যদিনের সাথী ও সুন্দরী রমণী তার আসক্তি হয়ে যায়। একবুক কষ্ট নিয়ে গানের দিকে ঝুঁকে যায়। আর সেই লোকটি, যার সাথে তার মমের একটা সম্পর্ক ছিলো। অবৈধ সম্পর্ক ছিলো অবশ্য। তাকে পরপারে পাঠানোর মাধ্যমে মাফিয়া কিংডমে প্রবেশ হয় তৃষ্ণার।

কোনো একদিন নেশাদ্রব্য পাচারের সময় আরহান, তৃষ্ণার গ্যাংকে ধরে ফেলে। এই থেকে শুরু হয় শত্রুতা।

​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​

অতীতের পৃষ্ঠায় চোখ বুলিয়ে নিয়ে তৃষ্ণা এখন হাঁপাচ্ছে । বড্ড ভয়ংকর ছিলো তার কাছে, নিজের মম-ড্যাডকে ওমন অবস্থায় দেখা। তৃষ্ণা পাশ থেকে একটা ছুরি নিয়ে, ফ্রেমের বা পাশে, ওর মমের ছবিতে আঘাত করে। ফ্রেমের কাঁচ ভেঙ্গে যায়। ঐ কাঁচের উপর দিয়ে তৃষ্ণা ওর মমের মুখশ্রীতে হাত বুলায়। ভাঙ্গা কাঁচ হাতে লাগায়, রক্ত বের হয়ে ছবিতে, তানিয়ার মুখের উপর লাগে। তৃষ্ণার ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে হাতে। এর চেয়েও অধিক যন্ত্রণা অনুভূত হচ্ছে বুকে। তৃষ্ণা হাসলো।

উচ্চস্বরে হেসে বললো,“আমার সব কিছু ছিনিয়ে নিলে তুমি মম। তুমি খুনি। শুধু ড্যাডের না। আমার সুখের ও। তাই তোমার মুখের উপর এই রঙটা খুব মানায়। এটাই মানায় তোমার সাথে।”

____________________________

“সত্যি ভালোবাসো আমায়?”

আরহানের বিস্মিত কণ্ঠস্বর শুনে খেয়ালে এলো আমি কি বলেছি। এতক্ষণ আরহানের কথায় কষ্ট লাগলেও এখন লজ্জা লাগছে। এভাবে কিভাবে বলে দিতে পারলাম?

লজ্জায় ইতিমধ্যে আমার গালে রক্তিম আভা ছেয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গ এড়াতে অন্য কিছু বলা সম্ভব না এখন। তাই সম্পূর্ণ আরহানকে এড়াতেই প্রস্থান করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

ভাবনা মাফিক যেতে নিলেই, আরহান আমার হাত ধরে টেনে পুনরায় নিজের সামনে দাঁড় করালেন।

“শুকতারা? ডু ইউ লাভ মি? সিরিয়াসলি?”

আরহানের কণ্ঠস্বর শুনে বোঝা যাচ্ছে, উনি চমকেছেন। পুনরায় মুখশ্রী ভাব গম্ভীর করে বললেন,“তৃষ্ণার হাত থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যে বলেছিলে নাকি?”

আমার এতক্ষণের লাজুক ভাবটাও উনার মুখশ্রীর সঙ্গে পাল্টে গেলো। উনি ভুল বুঝছেন তো। আমি ভালোবাসি উনাকে। কিন্তু মুখ ফুঁটে বলবো কি করে?

আরহান পুনরায় বললেন,“জানো আমার অবস্থা কি হয়ে গিয়েছিলো? একেতো আমি এই শহরে ছিলাম না। তার উপর রাতে ওরকম একটা ঘটনা। মাথা নস্ট হয়ে গিয়েছিলো আমার। কিভাবে যে পুরোটা পথ এসেছি আমি, তোমাকে বোঝাতে পারবো না। আমার সব লোক লাগিয়ে তোমাকে খুঁজেছি। কিন্তু…. আই এম সরি শুকতারা। আমার আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিলো।”

মিনিট খানেক আরহানকে দেখে আমি উনার হাতের বন্ধন থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলাম। বেড সাইড টেবিলের ড্রয়ার থেকে একটা নোট প্যাড আর একটা কলম নিয়ে কিছু লিখলাম। এরপর আরহানের হাতে দিয়ে দ্রুত পায়ে রুম ত্যাগ করলাম।

আরহান কাগজের লেখা গুলো পড়ে হাসলেন। প্রাপ্তির এক হাসি হাসলেন।

সেখানে লেখা ছিলো,“আপনাকে ভালোবাসি কি না বলতে পারবো না। শুধু বলতে পারবো‚ আমার কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞা মানেই আপনি।”

​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​

________________________

এতো দিন অনেক খোঁজ করার পর অবশেষে আরহান তাকে পেলো। মাত্র রুদ্রের কল আসায় আরহান রুদ্রের বলা এড্রেসের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। এই চারদিন সিলেটে ছিলো আরহান। সিলেটে যাবার মূল উদ্দেশ্য সেই মানুষটাই ছিলো।

অতঃপর রুদ্রের বলা এড্রেসের সামনে পৌঁছতেই আরহান চোখ দুটো বড় বড় করে ফেলে। কারণ সে এখন ‘টি এস ইন্ডাস্ট্রিজ’ এর মেইন অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

দ্রুত পায়ে অফিসের ভেতরে ঢুকলো। গার্ডস এতে কোনো ঝামেলা করেনি। কারণ সে এখানে ‘দ্যা মাফিয়া কিং এ.এ.কে’ নামে আসেনি। এসেছে আরহান পরিচয়ে।

ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে আরহান মনে মনে বললো,“পৃথিবী আসলেই গোল। যাকে এতদিন ধরে এতো দূর দূরান্তে খুঁজে এলাম, সে আমার কাছাকাছিই ছিলো।”

ভেতরে ঢুকে একজনকে জিজ্ঞেস করলো,“মিসেস শেফালী আহমেদ এর কেবিন কোনটা?”

লোকটি বললো,“ম্যামের কেবিন, থার্ড ফ্লোরের একদম শেষের দিকে।”

আরহান আবারও সেদিকে গেলো। কেবিনের সামনে পৌঁছিয়ে ডোর নক করতেই ওপাশ থেকে “কাম” বলায়, আরহান প্রবেশ করলো।

একটা আধ বয়স্ক মহিলা বসে বসে কিছু ফাইলস চেক করছে। আরহান এগিয়ে গিয়ে সামনের চেয়ারে বসে পড়লো।

মহিলাটি একবার আরহানের দিকে তাকিয়ে পুনরায় নিজের কাজে মনোযোগী হয়ে বললো,“কি প্রয়োজন?”

“আপনাকে।”

“কেনো?”

“অতীত জানতে চাই।”

মহিলাটি থমকে গেলো। হুট করেই মাথার ভেতর পুরনো সব ঘটনা এসে জড়ো হয়। আরহানের দিকে চোখ তুলে তাকায়। এবার আর চোখ সরায়না।

জিজ্ঞেস করলো, “আপনাকে কেনো বলতে যাবো?”

“অতীত যখন বর্তমান নষ্ট করতে আসে, তখন সেই অতীতকে আগে নষ্ট করতে হয়। তার জন্য প্রয়োজন সেই অতীত জানা। তাই এসেছি।”

আরহানের কথায় মহিলাটি কেমন যেনো হাসফাঁস করা শুরু করলো। ভেবেছিলো তার অতীতের সমাপ্তি সেখানেই হয়েছে। কিন্তু না, সে আবারও তার দরজায় করাঘাত করলো।

“আমি আপনাকে কিছু বলতে বাধ্য নই।”

আরহান জানতো, এতো ইজিলি সবটা জানতে পারবে না। তাই বিদ্রুপ স্বরে বললো, “মেয়ে বেঁচে আছে নাকি মরে গিয়েছে, এটা জানতে চান না?”

“মানে?”

মহিলাটির সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্ত করা প্রশ্নে আরহান হাসলো। ঠোঁটের হাসির রেখা বিদ্যমান রেখেই বললো,“আগে আপনি বলুন। এরপর আমি বলছি..”

​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​

চলবে…