বেদনার রং দিয়ে
নিত্য যাকে আঁকছো;
কতটা আপন সে
কখনো কি ভাবছো!?
গাঢ় নীল কষ্টে যখন
আকন্ঠ ডুবছো….
কষ্টদাতার বাঁকা হাসি
গোপনে কি দেখছো!?
বিষন্ন স্বপ্ন নিয়েও হাত
ধরে যার হাঁটছো….
নির্ভরতার অভাব তবু!
গোপনে কি কাঁদছো?
ভাঙ্গাচোড়ার গান শুনেও
নিত্য জোড়া দিচ্ছো
গোপনে কি একটিবারও
উত্তর কোনো খুঁজছো!?
কাঁদছো কেনো বোকা মেয়ে?
এটাই তোমার প্রাপ্য ;
বলছে সমাজ ঠায় দাঁড়িয়ে
মানতে সব আরোপ্য!!
প্রাপ্য কি তার হিসাবগুলো
এবার ভুলে যাও….
মোহাবিষ্ট ভালো থাকার
লেবাস ফেলে দাও….।
অবহেলার ভাষাগুলো
একটু শিখে নাও…
অভিশাপের ভাষা ভুলে
অবহেলাই ফেরত দাও…।
গুরুত্বটা দিচ্ছো যখন
একটু বেশি বেশি…
গুরুত্ব হারাবে তুমি
শুধুই মিছেমিছি….।
কার জন্য করছো তুমি
কে করছে তোমার জন্য;
কড়ায় গন্ডায় হিসাব নিয়ে
হতেই হবে ধন্য…।
নিজের ক্ষমতাটা এবার
চিনে নিও মেয়ে…
তুমিই পারো বদলে দিতে
আলোক শিখা হয়ে…।
আমিত্বকে বিলিয়ে দিয়ে
কিইবা পাবে তুমি?
তার চেয়ে মুগ্ধ আলোয়
সাজাও স্বপ্ন ভূমি…।
সীমারেখা টেনে দিও
ভালোবাসার মাঝে
মনটাকে সাজিয়ে নিও
দ্রোহের কারুকাজে….।
তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিও
সকল দুঃখকথা….
নীরব দ্রোহে তুমিই হবে
নিপুণ নির্মাতা….।।
শিমু কলি
০৭/০৩/২০২০ইং