সেই ভোর থেকে ছুটোছুটি
দূরের শহরে বয়ে নিতে হবে সব্জীর বোঝা
খালি পা, ধূলোমাখা হাঁটু
দুটি রুটি সাথে পলিথিনে বাঁধা
হারুর মায়ের শেষরাতে ওঠা সারাবাড়ি কাজ
সংসার হাতছানি দেয় ;
হারুর কাকা সুশীল
বহুকষ্টে আজপর্যন্ত অশিক্ষিত হারুর বাপ ভাইকে কলেজে ভর্তি করাতে পেরেছে –
সব্জীর বোঝা কাঁধে নিয়ে স্বপ্নের পথ দেয় পাড়ি -;
কতো কথা —
হারু বড় হবে, কাকা অনেক বড় করবে হারুকে —
একদিন এমন ছেঁড়া কাপড়ের দিন যাবে কেটে, দু’বেলা রুটির বদলে আসবে হাসিমুখে ভাতের দুপুরবেলা-
সত্যিই সুশীল একদিন ব্যাংকের অফিসার হয়, দাদা-বৌদির ঘামেভরা মুখে খুশির ঝিলিক -” আমাদের সুশীল-!”
সুশীল দাদা-বৌদি আর হারুকে নিয়ে স্বপ্নের প্রথম সোপানে রাখে পা –
হারু ভালো স্কুলে ভর্তি হয়
দাদা গ্রামের বাজারেই তরিতরকারি নিয়ে বসে, দোকানে বসেই তৃপ্তির লাল চা এককাপ এনে ধরিয়ে দেয়
ঝন্টুর বউ —
জ্বর আর কাশি নিয়ে ব্যাংক থেকে ফেরে সুশীল –
বৌদির উৎকণ্ঠা
দাদার দৌড়ঝাঁপ
হারু শুধু ফ্যালফ্যাল চেয়ে দেখে—
অতঃপর হাসপাতাল
তিনদিন পর অমিক্রনের কাছে পরাজিত হলো নিম্নবিত্তের সব সাধ, সব স্বপ্ন—!