ভালোবাসা দিলে পাবে
ভালোবাসা….
ঘৃনা দিলে পাবে ঘৃণা,
অবহেলা দিলেতো
অবহেলাই পাওয়ার কথা….
প্রতারণা দিলে বিনিময়ে
প্রতারণা….
খুব সহজ হিসেব কিন্তু….
যতটা নরম কোমল সোজা সাপ্টা
ভাবো নারীকে, নারী কিন্তু
আদতে অতটাও নয়…..
নিজেদের দোষ ঢাকতে
নারীকে কোমল আভরণ
পড়িয়ে রাখতেই ভালোবাসো…..
কেউ না বুঝুক নারী ঠিকই বোঝে।
যদি তুমি ভালোবেসে থাকো পাশে
জ্বালাতে পারো নির্ভরতার প্রদীপ
আর বিশ্বাস এর অমিয় শিখা….
তবে সে তোমার রাজ্যে নামাবে স্বর্গ
মায়ার সমুদ্রে করাবে স্নান……
আসলে নারী একটা মায়াপরী।
যদি তুমি দাও অবহেলা, দাও অপমান
তবে তুমিও প্রস্তুত থেকো হারাতে সম্মান ;
অগ্নিবাণে জর্জরিত হবে তোমার রাজ্য
নরকে হবে তোমার বসবাস…..
তখন নারী নয় আর মায়াপরী
হবে সে চণ্ডিকা চণ্ডালিকা…..
কেনো সে হলো চণ্ডিকা,
মনের হাতে নিয়ে ত্রিশুল?
সে প্রশ্ন বৃথা….. কেনো বৃথা?
কারণ তুমিই সে, যার মন রোগাক্রান্ত
যে মনে অসংখ্য কীটের বাস,
যে মায়াপরীকে একনিমিষেই
বানিয়ে দাও চণ্ডিকা
তারপর চোখ কান মুখ বন্ধ করে
ভাব ধরো অবুঝের…….
যদি দাও প্রতারণা তবে
প্রতারণা পেতে দোষ কি?
তুমি যদি সুখ খোঁজো অন্য নারীতে
নারীও তা খুঁজতে পারে অন্য পুরুষে….
কিংবা হতেও পারে প্রতারণার জবাব।
কি খুব খারাপ লাগছে তো শুনতে?
তা লাগবে বৈকি ;
এভাবে ভাবতে অভ্যস্ত নই যে…..
নারী সুন্দর সর্বরূপে…..
কন্যা, জায়া, জননী,
বোন বা প্রেমিকা যাই বলি…
তাকে সুন্দর রাখো, অসুন্দর হতে দিওনা
নারী যদি হয় প্রতিশোধপরায়ন
তবে পৃথিবী ঢেকে যাবে
ভালোবাসার অভাবী অমানিশায়….
মায়ার সাগর যাবে শুকিয়ে,
মায়াহীন পৃথিবীতে অসুন্দর এর
বাড়াবাড়ি ছাড়া কি আর থাকে বলো?
নারীকে ভালোবাসা দাও
ফেরত পাবে কয়েকগুণ…..
নারীকে প্রেম দাও সে তোমার
কায়া ধারণ করে হবে তোমারই ছায়া…..
খুঁজতে যেওনা নারী মনের আগুন
ঝলসে যাবে…..
খুঁজতে যেওনা অন্তঃপুরের কঠিন
শিলাময় উদ্যান…
তৃষ্ণার্ত পথিকের মতো পড়ে রবে
হাহাকার নিয়ে…..
তাই, শুধু ভালোবাসো….
ভালোবেসে রচনা করো
এক মোহমায়ার ইন্দ্রজাল…..
নারী যেনো তোমাতেই বুঁদ থাকে অনন্তকাল…..