আমি কি নিজেকে চিনি, না’কি চিনি’না
মাতৃহীনা নাকি তুমিহীনা মানুষগুলো চিনি’না।
শুনেছি কবিতা নাকি আকাশে লেখা হয়
সাদামেঘের বিচ্ছিন্ন পালক বাতাসে ছড়িয়ে রয়,
বিধাতা হঠাৎ নিচে এঁকে ফেলেন এক মায়া
ঘরে খিল এঁটে লিখতে বসি
বসন -ভূষণ -যৌবন
পরিশেষে লিখে ফেলি একটা রুহের হীরকচূর্ণ কবিতা,,,
হায়,,,
একটা রুহ নীরবে মায়া নামে রোজ আত্মহত্যা করে
রোজ ভেবে ভেবে নতুন মৃত্যু আবিস্কার করে
কখনও এক টুকরো তুলো হয়ে আকাশে ভাসে
কখনও পাখির ঠোঁটে আদর হয়ে গা এলিয়ে রাখে
কখনও বা সবুজে সোহাগ মেখে বাতাসে উড়ে,
একটা রুহ পাখি হয়ে সূর্যস্নান করে
ফেলে রাখা পাখির পালকের বিপুল বিনাশে নিজেকে আবিষ্কার করে।
এমন বর্ষন মুখর পিপাসিত অনুভূতি ঘনীভূত সময় ধীর পায়ে মায়া এসে
কলম ছুঁয়ে বিচ্ছিন্ন কবির দরজা খুলে
মহাত্ন্যের হীরকজয়ন্তী লেখায়।
আহা আমি কি নিজেকে চিনি?
কলম ছুঁয়ে রাত্রি ঘনায়
এই মায়ার ভূবনে সা,রে,গা,মা দীর্ঘশ্বাস ছড়ায়,
মাতৃপিতৃ তুমিহীনা মিথ্যে পাঠে মানুষ সব শিক্ষিত হয় ।
সত্যি কি আমি নিজেকে চিনি, না’কি নিজেকে চিনিনা।