অসংখ্য পাথরের মাঝে ধাক্কা
খেতে খেতে এক দিশেহারা স্রোত যেন প্রবল বেগে ছুটে চলেছে তার গন্তব্যে…
পথের হাজারো বাধা যেন তাকে স্বাগত জানিয়ে আপন করতে চায়…
কিন্তু সে থামে না…
কোনো বেনামী পাহাড়ি ফুল সৌন্দর্যের মায়াজালে আকৃষ্ট করে তার মন পেতে চায়…
কিন্তু তবু তাকে থামাতে পারেনি কেউ…
চলার পথে, তার গতি রোধ করতে যে যখনি হাত বাড়িয়েছে, সে যেন আরোই ভয়ানক রূপে ছিটকে বেরিয়ে এসেছে সেই মায়াবী হাতের মুঠোর থেকে ঝর্ণা হয়ে…
তাকে কেউ থামাতে পারেনি…
তার আশা, তার স্বপ্ন ,তার লক্ষ্য যে পাহাড়ের মতো বিশালাকার, মহাকাশের মতো বৃহত্তর…
সামান্য ফুলের দল, রংচঙে নুড়ি কাঁকড়, অভিমানী পাথর খণ্ড
সবাই তাকে চাইলেও, কেউ তার যোগ্য প্রিয়তম নয় সে জানত…
তাই তাকে এগিয়ে যেতেই হবে লক্ষ্যে…
সে মনে মনে স্বপ্ন দেখে প্রতিটা পূর্ণিমার তিথিতে অলংকারী জ্যোৎস্নায় সজ্জিত তার প্রিয়তমর রূপ…
যে রূপ পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্যকে হার মানায়…
তার বিশ্বাস, সেখানেই তার সমস্ত যন্ত্রণার অবসান…
অবশেষে মিলন মুহূর্তের দিন উপস্থিত…
সে যেন তার সমস্ত শক্তি দিয়ে দুহাত বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরতে চলেছে তার প্রিয়তমকে… তার প্রিয়তম যেন বলছে… তুমি শুধুই আমার…
এই মুহূর্তের আনন্দের ভাগ যে আর কাউকে দেওয়া যায় না…
সেই আনন্দ শুধুই তার,,.
তার প্রিয়তম আর কারো হতে পারে না…
সে শুধু তার…
দুচোখের পাতা বন্ধ করে উচ্ছ্বসিত আবেগ নিয়ে প্রবল গতিতে প্রিয়তমকে জড়িয়ে ধরতেই..সে তলিয়ে গেল এক বিশালাকার, বৃহত্তর সাগরের অহংকারের গভীরতায়…
মিশে গেল তারই মতো বহু প্রেমিকের ভীড়ে…
মিলিয়ে গেল তার অস্তিত্ব…
থমকে গেল গতিবেগ…
বহুবার মনে পড়ল সেইসব পাহাড়ি ফুল, নুড়ি কাঁকড়, পাথর খণ্ডের ভালোবাসার নিবেদন, কিন্তু আর ফেরা হল না কোনোদিন…
লেখক | রমেশ দাস
কবিতা পাঠে | নিবেদিতা পাল