…এবং অন্ধকার ছিলো নিরাকার ছিলো,
ছিলো অচেতন
ছিলো অনন্ত চির শান্ত অক্লান্ত অন্তঃসলীলা
ফল্গুধারা মন!
একে একে এঁকে বেঁকে এসেছিলো তপোবন, বোধিবৃক্ষ, গুহা
করোটি পাহাড় গলগথা,মরীচিকা বালিয়াড়ি
বলেছিলো মন্ত্রমহা!
যখন মন যা বলেছে তখনই ডেকেছে
সেই নামে ওরা
আমিও তেমনই ডেকেছি তোমায় কখনো অজন্তা, কখনো ইলোরা!
…এবং নিষেধ ছিলো, ভেদ ছিলো,
ছিলো জেদ অবাধ্যতা
পোড়ার ভয় ছিলো, তবু ছিলো আগুনেই
হাত দেবার বারতা!
ছিলো কোজাগরী ছিলো অপ্সরী মদালসা
লাস্যময়ী আহ্বান
পাথর ঘষা জীবন ছিলো, শাখা লতায় বাঁধা ছিলো তীরধনুকের প্রাণ!
এক নামে নয়, হাজার নামে ডেকেছিলাম,
জানে এই মন তা
এই তুমি-ই বঁধু নিশিকালের ইলোরা, আমার দিবসবেলার অজন্তা!
…এবং বারে বারে ইমন কল্যাণে
মেঘমল্লারে সুরে সুরে
ডেকেছিল পর্ণ কুটিরে প্রাসাদ প্রাঙ্গণে
অন্দর অন্তঃপুরে!
চাঁদ ডোবা আঁধার সভায় এসেছিলে
অপরূপ শোভায়
বলেছিলে, ‘তুমি কোথায়?’ আমিও বলেছিলাম,
’তুমি কোথায়?‘
চারিদিকে প্রাণ ছিলো, প্রেম ছিলো, আনন্দালয় ছিলো আলো ভরা
মাথা তুলে চোখ মেলে দেখেছিলাম কখনো অজন্তা, কখনো ইলোরা!