জোসনা ও রুপা

Photo of author

By লীনা ফারজানা

রাত ৯ টা। রূপা ছাদে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। জোসনা রাত তাই অনেকটা দিনের আলোর মতোই ঝকঝকে হয়ে আছে। আজ আকাশটাকে রূপার কেনো যেনো অন্যরকম মনে হয়। চাঁদের আলোয় ছাদের গাছ গুলোও আলোকিত হয়ে আছে।

রূপার অনেক গুলো সন্ধ্যা মালতি গাছ আছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পরেই অনেক ফুল ফোটে। রাতে ফোটা ফুলগুলো দেখার সৌভাগ্য তেমন হয় না। রাতে একা ছাদে আসতে যে ভীষন ভয় লাগে। আজ রূপা ভয়কে জয় করেই ছাদে এসে দাঁড়িয়েছে। অনেক দিন পরে রাতে গাছ গুলোর সাথে দেখা।

রূপার গাছ গুলোতে সকালে বিভিন্ন রকমের ফুল ফোটে। রূপা এসে কিছু কিছু পছন্দের ফুলে হাত বোলোয়। প্রজাপতিরাও এসে ফুলের ওপরে বসে ভীড় জমায়। এই সুন্দর দৃশ্য দেখতে রূপার ভীষন ভালো লাগে। এক নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়।

রূপার ছোটো ছোটো ভালো লাগা গুলো মাঝে মাঝে ক্যামেরা বন্দি করে রাখে। অনিমেষ এগুলোকে ছেলেমানুষি মনে করে। রুপা যে ঐ গাছের মাঝেই সুখ খুঁজে পায়। ভালো লাগা কাজ করে। কিছুটা হলে ও দুঃখ গুলো হারিয়ে যায়। অনিমেষ এইগুলো কখনোই বুঝবে না।

রাতে ইচ্ছে করলেই ছাদে আসতে পারে না রুপা। আজ কেনো এতো সাহস হলো নিজেও বুঝতে পারছে না। হয়তো কষ্ট গুলোই ওকে ছাদে আসতে সাহস যুগিয়েছে।

ভাবনায় ডুবে গেলে আর ভয় করে না। রূপা সব সময়ই ভাবনায় ডুবে থাকতে চায়। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে না। একটা সময় ভাবনা গুলো হারিয়ে যায়। হারিয়ে যায় মনের অলিগলিতে বাস করা কিছু স্বপ্ন। তবুও রূপা সুযোগ পেলেই ভেবে যায়, ভাবনায় ডুবে যায়।

এতেই যে ওর সুখ!

লীনা ফারজানা
১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ইং