ইচ্ছেঘুড়ি

Photo of author

By Shahnaz Parveen

আমি গল্প বলি। আবার নিজের গল্পই নিজকানে আমি শুনতে পাই। আমার গল্পে বাস্তবতার ছোঁয়ার চাইতে কল্পনার মোহ বেশী থাকে। আমি কল্পনায় আবিষ্ট হয়ে পড়তে পছন্দ করি।বাস্তবতা আমাকে সমুখে বা পেছনে ভয় দেখিয়ে অভ্যস্ত। ভয় এড়িয়ে চলা এখনো আমার অভ্যাসে পরিনত হয়নি। তাই ভয় পাই। ভয়কে আমি ভীষণ ভয় পাই।

আমি কল্পনায় স্বপ্নের লাল নীল ঘুড়ি বানাই। সেখানে আমার দৌরাত্ব্য দেখে সকলেই ভারাক্রানত হয়। আমি পলকে ঘুড়ি নিয়ে এপাড়া থেকে ওপাড়া এপার আর ওপার স্বদেশ কিংবা বিদেশে পাড়ি জমাই। স্বপনে কিংবা কল্পনায় ঘুড়িগুলো সতেজ উজবল আর লাস্যময়। উড়ে উড়ে সকল প্রান্তে চিনহ রেখে আসে। আমার রঙিন কল্পনায় আমিও থাকি আর দেখতে দেখতে অনুভবে সব পেয়ে যাই।আমার দৃশ্যে পরিষ্কার করে কেউ কেউ ছবি আঁকে, কেউবা জীবনের গান হৃদয়ে মাখে, কষ্ট আর কাঠিন্য দাপটের সাথে দেহে আর অবয়বে বহন করে চলে। আমার সারা আকাশ জুড়ে লিখা নীল কষ্ট গুলো তাদের ছুঁয়ে দিতে চায়। আমি কিন্তু আনন্দ দিতে পারি না।

দূরন্ত আকাশ তবু থামে না। দূর দূরানত থেকে আমার আমন্ত্রণ আসে। আমার আকর্ষন দূর্নিবার। আমি ঘুরে ঘুরে রহস্যের জালে বোনা মানব হৃদয় ছুঁয়ে দেখি পৃথিবী দেখার ছলে। কোথায় কোথায় দেখি কি কি দেখলাম কি দিয়ে কি ছুঁয়ে দিলাম তার হিসেব রাখা আমার হয়ে উঠেনা। প্রকৃতি ত্রসত পায়ে জানান দেয় ওরা সাথী।ওরা সাক্ষী ওরা সমব্যথী ওরা আনন্দিত ওরা পুরষ্কৃত ওরা সমাদৃত আর ওরা আমার ভালবাসার চাদরে আবৃত।

আমার কষ্ট লোভনীয় হয়ে ওঠে আর আমি সকলের জন্য না হলেও অন্তত নিজের জন্যে তো কাঁদি।

শাহনাজ
১৬.০৯.২০২২