Select Page

একটা নীল রঙের ডায়েরি

একটা নীল রঙের ডায়েরি

একটা নীল রঙের ডায়েরি তোমার লিখা, দিয়েছিলে আমাকে
সেদিন আকাশ ছিল বেদনা রং নীল

এতোদিনে ডায়েরির পাতাগুলো অনেকটাই ভঙ্গুর হয়ে গেছে
অনেকগুলো জায়গা ঝাপসা
একটু কস্ট করে পড়তে হয়
মাঝের কিছু পাতা বিবর্ণ হয়ে গেছে
শব্দগুলো একেবারেই ঘোলাটে দেখি
এতো যত্নে রাখার পরেও।

কিছু কথা পাঠোদ্ধার করতে পারিনা
ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে প্রতি মোহনীয় পূর্ণিমার জোৎস্নার ঝরঝরে আলোয় দেখি
চেষ্টা করে পড়ার চেস্টা করি।

বারবার ছুঁতে ইচ্ছে করে তোমার হাতের লিখার স্পর্শ নিপাট ভালোবাসায় জড়ানো

একদিন নদী হয়ে গেলে, ভেসে গেলে, অচেনা হলে
আজও তোমায় আকাশ ডাকি, ডাকি নদী
অথচ তুমি আর আমি একসঙ্গে হেঁটেছি একই মৃত্তিকায় সমান্তরালে
আমাদের পদচিহ্ন এখনো আছে মৃত্তিকার চুম্বনে
কোন এক শ্রাবণের বাতাসে, কদমের ঘ্রাণে
তোমার শরীরের ঘ্রাণ মিশে আছে আজও।

তোমার নীল ডায়েরির শেষপৃষ্ঠা এখনও স্পষ্ট
কি সুন্দর করেই লিখেছো কবিতার কতগুলো লাইন
কবি মাসুদ পথিক এর আশ্চর্য কবিতার কতগুলো লাইন
“শ্রী পলা মজুমদার” একেবারেই অক্ষত আছে।

“জেনো স্মিতা কে বলেছি গল্প টির ছাইচাপা অংশ টুকু”
আমার ভিষন জানতে ইচ্ছে করে, কি বলেছিল স্মিতা কে!

“পলা আমি ঠিক একদিন পাখি হবোই খোয়াই ‘য়ের আকাশে
তোমার ছেড়ে যাওয়া ছারা বাড়ির কামিনী ডালের সেই পাখি
উড়বো সেদিন সাবলীল, কোন কাঁটাতার ই হবে না বাঁধা
আর আহত ডানা থেকে ঝরবে যতো সব স্মৃতির রেশম
তোমার চোঁখের জল মিশে যাওয়া বাতাসের দু পা’ড়ে।”

কি আশ্চর্য! আমিও প্রতিদিন পাখি হয়েই উড়ি নীল প্রজাপতি রং আকাশে,
“শ্রী পলার” বাড়ি যেতে যেতে পথ ভুলে যাই,
মাঝে মাঝে বেবুন বৃক্ষের ডালে একটু জিরিয়ে নেই
কিংবা পরিযায়ী পাখি হয়ে উড়ে যাই সাইবেরিয়া,
তোমার গোটা গোটা হাতের লিখা নীল প্রজাপতি রঙের ডায়েরিটা
আমি এখনো অনেক যত্ন করেই রেখেছি।

About The Author

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *