প্রিয়,
একদিন ভালোবেসে কয়েক টি
পত্র তুমি দিয়েছিলে আমায়!
অনূরোধ ছিলো, মনের মাধুরি
মিশিয়ে কয়েক ছত্র যেন লিখি
কিভাবে রেখেছি ভাবনায় তোমায়!
সেই পত্রের শব্দে শব্দে যা ছিল
তা হল শুধুই শিহরণ!
পড়তে পড়তে নিজেই অলখে
উত্তেজনায় কেঁপেছি কতো
শত বার, সহস্র ক্ষণ!
এত্তো সুন্দর করে কেউ কি
লিখতে পারে পত্র!
জানা ছিলো না তখন!
কতো কতো বার নিভৃতে নিরালায়
লুকিয়ে লুকিয়ে পড়েছি
আর আবেশে আছন্ন নিমগ্ন
আমি করেছি উদাসীন আচরণ!
অনেক অনুরোধে, তোমার ই
পত্রের পেছন পাতায়
লিখলাম ভেবে দু চরন!
অভিযোগ করে —
ভালোই যদি বাসেন তবে কেন
আমায় আপনি বলেন?
অভিমান আর অনূযোগের
উত্তরে এল যে কথা –
তা পড়ে আজও ওঠে
আবেগে, শিহরণের উত্তাল
উন্মাদ কথকতা!
যা আজও করে রেখেছি
গোপনে যতনে সংরক্ষণ।
যখনি পেয়েছি ব্যাথা….
অলস কোনো মনখারাপের দিনে
গোপন কুঠুরি থেকে বের করে
পড়েছি কতবার তা!
আর টনিকের মতো
ভালোবাসার শব্দগুলো
ফিরিয়ে দিয়েছে শান্তি
এই চঞ্চল অস্থির মনে।।
উজ্জীবিত হয়ে আবার ফিরেছি
তোমার ই কাছে হয়ে নতুনে।
সাথে আছ তুমি ইতি নয় তাই
যা মুখ ফুটে বলা হয় নি
তা আজ বলে যাই —-
ওগো ভালোবাসা পেয়ে
ভালোবেসেছি তোমায়।
তোমার ই….. নি
ফাতেমা হোসেন
২২/৯/২০২১ ইং