……..পাখি
হুম
কি করো?
অপেক্ষা।
তাই?
হুম।
আর কি করো?
বৃষ্টি দেখি আর ভাবি।
কি?
কতোই না কিছু।
ভালোবাসা কি
শ্বাস বা দীর্ঘশ্বাস?
মানে?
ঘুম ভাঙলে প্রথম যে শ্বাস, হয় সেটা শ্বাস বা দীর্ঘশ্বাস
এ এক যুদ্ধ নিজের সাথেই নিজের।
কতদিনের এ যুদ্ধ?
হয়ত শেষ বেলা অব্দি, বা স্মৃতির বিস্মৃতি ঘটে সেদিন ই শেষ হবে যুদ্ধ
আছি কি আমি?
জানি না।
পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনামে রাখিনি প্রচারের জন্য
রাত গভীরে আমায় মনে করা মেসেজে বা আগলে রাখায়
Category: Poems
-
পাখি
-
ঘুঙরু
পায়ে আমার ঘুঙরু
কখনো তাতে তাল উঠেনি।
হঠাৎ একদিন অযথাই চেষ্টা
একপা দু পা চলতে থাকা
তা আজও থামেনি।আকাশ ভরা তারার রাতে
বাইরের উঠোন’টাতে
চলতে থাকা আমার পায়ে
মিলে গেলো তাল তাতে।হাত দুটো মেলে দিলাম
পাখির ডানার মতো,
তারা’রা মাথার উপর
কতো শত শত।এক ঐশ্বরিক ক্ষমতা
ভর করে আমায়,
রুহ টেনে আমার
অজানা কোথায় নিয়ে যায়।ঘুরছি আমি লাটিমের মতো
দ্রুত নয়, খুবই ধীর
সুগন্ধ বাতাসে
হবে কোনো রঙিন ফুল
নয়তো বা অতসীর। -
খুঁজে ফেরা
অসম্ভব যত্ন, মায়া দিয়ে,
অনুভুতির ছোঁয়া দিয়ে
শব্দের কথা বুনে বুনে
জীবনের প্রহরগুলো,
সাদা খামে লুকোনো
যে চিঠি পাঠালো
তা তোমার জন্য হয়তো
বাক্যের ছিলো
কথার ছিল?
আমার কাছে তা ছিল
অক্ষরহীন,শব্দহীন
শুধুই সাদা কাগজ।তোমার কাছে আকাশ যখন
সাত রঙে, রঙিন হয়ে
গাঢ় নীলের শরৎএর
আবাস হলো,
তখন আমি শুধুই
সাদা কালো মেঘে ভাসি
ধূসর কোনো রোদ্রু ছায়ায়।তোমার যখন
মুক্ত স্বাধীন আকাশ
অসীম স্বপ্নীল পৃথিবী।
অনাবিল খুশি নিয়ে
ভালোবাসার উচ্ছাস।
তখন আমি
পরাধীনতার শিকল ভাঙি।
বাতাস কেটে
আকাশ খুড়ে
মুক্তি খুঁজে ফিরি
সারা দিনরাত।© ফারহানা সুমনা
-
তালপাতার প্রাসাদ
তুমি ঘর বুনে নিও তালপাতার
নির্জন মরুর প্রান্তরে
বৃষ্টি ডেকে নিও মরুর বালু ভেজাতে
একটা বটের চারাও নিও সঙ্গে
যে বৃক্ষ হয়ে ছাঁয়া দিবে সর্বঅঙ্গে।কোনো এক সময় চলে এসো আবারও
দেখার ছলে,নদীর জলে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ছন্দ তুলে
কতো কথা যায় বলে।
তীর ঘেঁসে কাশফুলেরা
বাতাসা পেলে উঠে দুলে।থেকে যেতে,নির্জন মরূময় বালুতে
পিপাসিত হৃদয়ের আর্তনাদে মিশে
তালপাতার চিকন ভাঁজে ভাঁজে
দেখার তৃষ্ণায় কারন খুঁজে
চিকচিকে রোদ্দুরে চোখ বুঁজে।
দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা সাজে
শূণ্যেতার সুর করুন বাজে।যদি আমারি না হতে,তবে কেনো এলে
স্নিগ্ধ বাতাসে বিষ ছড়াতে?
তালপাতার ঘরে নেইতো আমি
জানতে সব,জানতে তুমি
তবে যাও ফিরে,তোমার নীড়ে
মরুর বুকের তপ্ত তীরে।এসো সেদিন তুমি ফিরে
স্নিগ্ধ প্রেমের আলো ঘিরে
কোমল হৃদয়ে দাগ মুছতে
জ্যোৎস্না ঝড়া নীল রাতে
জোনাক পোকার ডানায় উড়ে
মন নামের ছোট্ট নীড়ে…।© কামরুন্নাহার বীথি
-
হেরে যাওয়া সময়ের সাথে অসহায় সময়ের কথন
- প্রেমে পড়েছ বুঝি?
- হুম্
- কার? তোমার সাথে তোমার নিজের?
- হুম্, ভাবছি আরেকবার প্রেমে পড়বো খুব করে
ভুলে যাব ভুল করা
ভুলে যাব ভূলমন্ডল
ভুলে যাব অতীত
নতুন করে গড়বো আবার
নতুন কথায় সাজিয়ে - তবে তাই হোক, তাই হোক, তাই হোক…
- হবেনা গো হবে না
কপালে সবকিছু সবার যে থাকেনা
একসময় তুমি সময়ও হাত ছেড়ে দিয়ে পালাবে
চৈতের দুপুরে - তাই তো বলেছি, নিজের সাথে প্রেম করো।
আমি সময় পালাবো না গো
পালাবো না
আসুক চৈতের দুপুর কিংবা হিমবাহ - কথা দিতে নেই
সময় তো এমনিতেই পালায়।
তারচেয়ে বরং তুমি,
তুমি সময় হয়েই থাকো আষ্টেপিষ্টে মন মননে
চৈতের দুপুরে হিমবাহে
এইবার এইভাবেই নিজের সাথে নিজেই প্রেমে পড়বো
মন দেবো, মন নেবো
আর তুমি আঁইকা দিও ছবি আমার
মন মননের! - এখন একটু যাই গো সখি রঙতুলি আনিতে
তুমি আমার-তোমার মনের রঙের শাড়ি পইরা
দাঁড়াইয়া রইয়ো পথপানে
আমি সময় রইবো সদা সনে তোমার হয়ে
আঁধার নামিলে কুপিখানা জ্বালিও - আচ্ছা, ফিরে এসে দেখতে পাবে একটা লাল রঙের বউ
একপ্যাচে লাল শাড়িতে
কতদিন হইয়ে গেলো
বউ নামটা যে আমার ধুলোর চাদরে ঢাইকা গেছে!
তুমি সময় আইসো
ধইরো হাত, আঁইকা নিও তোমার রঙতুলির ক্যানভাসে
আর ডাইকো বউ বউ বউ কইয়া
জানো সময়, এই বউ নামে সে যেন সেই কবে ডেকেছিল! - আমি সময় আসিবো সখি
ডাকিতে পুরোনো নামে –
বউ বউ বউ…
দিবো ভুলাইয়া
সাজাইতে-সাজাইতে আঁকাইতে-আঁকাইতে মম ক্যানভাসে
কুপির আলোতে - হুম্
©আলম – ৬ এপ্রিল ২০২৫ইং, বিকেল ৪টা ৪২মি.
-
কাগজ থেকে আলাদা হয়েছে কালি?
একদিন দখিনের জানালা খুলতেই
ঐ দূর পাহাড়ি ফুলের মাতাল সুগন্ধি যেন অপেক্ষায় ছিলো
আমার চারপাশটা শুধু ঘোরে আর দেখে
আমি নাম জানতে চাই
কিন্তু ওর নাম আর বলে না
আমি নিজেই নাম দেই, আবার
নাম বদলে দেই
নামের খেলা চলতে চলতে
ঐ পাহাড়ি ফুলের মাতাল সুগন্ধি
ঘুম পাড়িয়ে নিয়ে যায় আমায়
অচেতন পাহাড়িয়ার কোলে
বলি, আমায় নিয়ে একটা কবিতা লেখো তো সখি
কোল থেকে ঝটকা দিয়ে মাথা নামিয়ে দিয়ে বলে,
কাগজ থেকে আলাদা হয়েছে কালি!ঘুম ভেংগে যায়
ড্রয়ার থেকে ডায়েরিটা বের করে পাতা উল্টিয়ে দেখি
ডায়েরির কাগজ দেখি হলদেটে হয়ে গেছে
প্রথম পাতায় প্রথম কথা লিখেছি কালি দিয়ে “সখি”
কেন ছেড়ে গিয়েছো আমায় ছেড়েও ওপারে?
তুমি তো আমার কবিতা ছিলে,
ছিলে বাসন্তী বাসরকথা দিলাম আবার লিখবো তোমার ঠোঁটে ললাটে
লিখে যাবে আমার বুকপকেটের কালি
মনকষ্ট নিয়ে বলতে দেব না আর কভু
কাগজ থেকে আলাদা হয়েছে কালি…শেষ লাইনের জন্য ক্রেডিট প্রাপ্য: দিদিভাই Rupa Mozammel
-
চেনা অচেনা ধূসর রঙ
চেনা অচেনার আসা-যাওয়া বিরামহীন
দেখা পাই না আত্মায় বাস আমার সেই চেনা
নিজের সাথে নিজে কিছু কথা বলি আর ভাবি
চেনা-তোমরা যদি কিছু শুনতে পাওআমার কণ্ঠস্বর ক্ষীণ হয়ে গেছে বলে
কথাগুলো আমার
শুনতে পাওনা বুঝতে পাওনা
আমার গায়ের রং বদলে গেছে
চিনতে না পাওয়া ধূসর মলিন রঙেকি হবে শুনে, কি হবে আমায় চেনার ভান করে
আমি তো অভিযোগ করিনি, করবোও না
অভিমানটুকু আমার
অভিমানী হয়ে থাকুক না বেঁচে আমার মাঝেভালোই হয়েছে
অচেনা হতে দিয়েছো এই আমি কে
অচেনা হতে পেরেছি আমি
ভালোই তো আছি
এভাবেই ভালো থাকতে শিখে গেছি
বদলে যাওয়া ধূসর রঙের মানুষ হয়ে
ফিসফিসিয়ে নিজের সাথে নিজে কথা বলে
আমি শুধু আমার হতে পেরেছি
আমারই আমি
শুনশান নিরবতা
কোন ভিড় নেই
নেই কোন চেনা-অচেনার আনাগোনা…©আলম – ১২ আগস্ট ২০২৩ইং, রাত ৯টা ৩১মি.
-
ঘড়ি কিনি, সময় কেনা হয় না
—একটি কবিতা—
ঘড়ি কিনি, সময় কেনা হয় না,
চামড়ার বেল্ট, ধাতব ফ্রেম, চকচকে কাঁচ
কত দাম দিয়ে যে কিনি আমরা,
তার ভেতরে নেই একটুও ‘থাকা’র সাধ।
সুন্দর প্যাকেটে মোড়া ব্র্যান্ডের নাম,
হাতে বাঁধলে মনে হয়, এই বুঝি বেঁধেছি সময়কে— থাম থাম থাম।
কিন্তু সময়?
সে তো দূরের এক যাত্রী—
ঘটিকা না ঘোরালেও সে পেরোয় প্রহর,
নীরব নিঃশব্দে খসে পড়ে জীবনঘড়ির পাতা থেকে
আমাদের চেনা সময়, আমাদের যত স্মরণীয় অবসর।
স্মার্ট ঘড়ি কিনি—ডিজিটাল, ব্লুটুথে সংযুক্ত
হৃদস্পন্দন, নিঃশ্বাস, চলার হিসেব—সব দেখে
তবু জানা হয় না—এই জীবন কতটুকু বাকি রইল,
তবু জানা হয় না—কোন মুহূর্তটা সবচেয়ে জরুরি ছিল।
আমরা অ্যাপসে সময় গুনে নেই,
কিন্তু বুকের ভেতর যে শূন্যতা তার ব্যাকরণ নেই।
সময়কে বন্দী ভেবে বাজে ঘড়ির অ্যালার্ম,
আর আমরাও দৌড়াতে থাকি
‘দ্রুত পৌঁছাও’, ‘তাড়াতাড়ি শেষ করো’, ‘টাইম ইজ মানি’-র খাঁচায়।
ঘড়ি কিনি, সময় কেনা হয় না,
বাবার শেষ শ্বাসের ঠিক আগমুহূর্তে
ঘড়ির কাঁটা তখন বলছিল — বিকেল চারটা।
কিন্তু ওই বিকেলটা আর কোনোদিন আসেনি,
কোনোদিন আসবে না।
কারণ, সময় কখনো ঘড়ির ফ্রেমে আটকে থাকে না,
সে থাকে অনুপস্থিতির মর্মান্তিকতায়,
থাকে অপূরণীয় ভুলে,
যা শুধরে নেওয়ার নয়।
তাই তো সময়ের মূল্য বোঝা যায়
হারিয়ে গেলে—
না ফেরার দেশে চলে গেলে প্রিয়জন,
অথবা কারও মুখে ‘ভালোবাসি’ কথাটা
আর একবারও না শুনলে।
ঘড়ির কাঁটা ঘোরে, আর আমরাও ঘুরি জীবনের চাকা ধরে,
কিন্তু হৃদয়ের ক্যালেন্ডারে কিছু দিন
কখনো ছুটি পায় না।
ঘড়ি কিনি—নতুন মডেল, নতুন কালার
তবু সময়?
সে তার মতো বয়ে চলে—
তাকে থামানোর কোনো ঘড়ি তৈরি হয়নি এখনো,
হয়তো কখনো হবেও না।
ঘড়ি কিনি, সময় কিনি না—
সময় বাঁচাই, সময় ভালোবাসি।
কারণ সময়ই জীবন। আর জীবন চলে যায়—
বলে কিছু, আবার বলে না।
©আলম – ৫ আগষ্ট ২০২৩ইং, রোববার ভোর ৫টা ২১মি. -
যোগ্যতা
আমার একটাই যোগ্যতা,
আমি ভালোবাসতে জানি।
এর বেশি কিছু আমি পারিনা,
আমার কেশ দীঘির জল,
সাঁতরে নিতে পারো, যদি তুমি চাও।
আমি খুব ছিমছাম , গুছিয়ে যত্ন করে রাখি,
আমার ভালোবাসার মানুষ গুলোকে,
মনের শো কেসে।
সেখানে কারো হস্তক্ষেপ,
আমি মোটেও সহ্য করবো না।
সেখানে আমি অগ্নি রূপ ধারণ করি।
যা আমার তা শুধু আমারি,
আমার যত্নে গড়া ভালোবাসা,
আমি যে শুধু ভালোবাসতে জানি
এছাড়া আমার আর কোন যোগ্যতা নেই।
আমি ধর্য্যশীল না হলেও,
আমায় দিয়ে করিয়ে নিতে পারো
তোমার যত কাজ ,শুধু ভালোবাসা দিয়ে।
তাতে আমার ক্লান্তি নেই।
ঝগড়াটে না হলেও
ঠোঁট কাটা বলতে পারো,
তোমাদের ইংরেজি ভাষায় স্ট্রেইটফরোয়ার্ড।আমি পড়াশোনায় ওতো ভালো নই
তবে রান্নাবান্নায় আমি পারদর্শী।
একজন বাঙালি স্থূলদেহী
শ্যামলা বরণ নারী আমি,
অবশ্য সমাজ আমায়,
বিয়ের বাজারে কতটুকু দাম দিবে জানি না।
শুধু ভালোবাসা, রান্না, আর
আগলে রাখা দিয়ে কী
আমি সংসার ধর্ম করতে পারবো
কিনা তাও জানি না।
তবে আমি হরফ করে বলতে পারি,
আমার বুক গভীরে,
অনেক ভালোবাসা আছে,
তার ভিতরটায় তুমি ডুব দিলে
অন্ত খুঁজে পাবে না।
আমার একটাই যোগ্যতা
আমি শুধু ভালোবাসতে জানি । -
নির্জনতায় তুমি আমি
নির্জনতায় সঙ্গী করে চাঁদ কে তুমি ডাকো
চাঁদের সাথে আমায় তুমি সঙ্গী করে রেখো
মিষ্টি আলোয় বসবো দুজন পাশাপাশি হয়ে
গল্প কথায় রাত কাটাবো সময় যাবে বয়ে।নিশি চাঁদের মিষ্টি আলোয় দেখবো নয়ন ভরে
শক্ত করে হাতটি আমার তুমি রেখো ধরে,,
চাঁদনী রাতের আলোয় ছুঁয়ে মৃদু বাতাস বয়
চোখের তারায় মিষ্টি মধুর ভাব বিনিময় হয়।নিঝুম রাতের পাখি হয়ে রবো মোরা জেগে
গভির রাতে গল্প কথায় ভাসবো দুজন আবেগে
রাতের পরে রাত কাটাবো তোমার সাথে বসে
মনের কথা বলবো তোমায় জমানো যতো আছে।রাতের শেষে চাঁদ যখন পশ্চিম আকাশে ঢলে
সুখ তারাটা তখন ছুঁটে মেঘের তলে তলে
আলো দিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমের দেশে ছুটে
চাঁদের সাথে সেও যে লুকায় মেঘ সীমানার পটে।ভোরের আলো ফুটে উঠবে পূব আকাশের গায়
এবার বুঝি ফিরতে হবে নির্জন নিলারায়
বিদায় দাও আমায় তুমি মিষ্টি করে হেসে
আবার হবে দেখা মোদের স্বপ্ন আঁকা দেশে।চাঁদ তারার সাথে মোরাও এলাম ফিরে নীড়ে
ভোরের আলো ছুঁইবে এবার খুব ধীরে ধীরে
আবার এসো প্রিয় তুমি আগামী কোনো রাতে
বলব কথা তোমার সনে হাত রেখে হাতে।