জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে
১৯২০, ১৭ ই মার্চ
ভোরে চারিদিকে আযানের ধ্বনি
মোয়াজ্জিনের সুমধুর কন্ঠে,
মুখরিত আকাশ-বাতাস প্রকৃতির সকল প্রাণ
তারি মাঝে জন্ম শেখ মুজিবুর রহমান।
বাবা-মার আদরের, এলাকা মানুষের
স্নেহের ডাক খোকা মিয়া,
মানুষের দুঃখ-কষ্ট মনে নাহি ধরে
পরনের কাপড় শীতার্ত মানুষের কাঁধে।
১৯৪০
ওয়ান্ডার্স ক্লাবের হয়ে শিরোপা জয়
এ যেন বাংলার আগাম মুক্তিবার্তা বড়।
১৯৪৮
রাষ্ট্রভাষা লাঠিচার্জ উপেক্ষা করে
মায়ের ভাষা মুখের ভাষা কভু না ভোলে।
১৯৫২
আন্দোলন আরও বেগবান
ইটের পরে ইট দিয়ে তৈরি শহীদ মিনার
তারি মাঝে ফুলের মাল্যদান কর্মীদের অবদান।
একের পর এক আন্দোলন চলতে থাকে
শেখ মুজিবুর রহমানের সংগঠনে
নেতাকর্মীর আনা গোনা যায় বেড়ে।
একে ফজলুল হক, সোহরাওয়ার্দী ভাসানীর
মতো রাজনীতিবিদ তৈরি করে
ছাত্র নেতা শেখ মুজিবুর রহমান
রাজনীতিতে সে যে আমাদের অন্তপ্রাণ।
১৯৫৬
চীন থেকে শুরু করে সারা বিশ্ব ঘুরে
স্বাধিকারের কথা বলেছ অতি সংগোপনে।
৬ দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জেল মুক্তি আর
“বঙ্গবন্ধু” উপাধি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা বলে জনসভা শুরু
বাঙালিরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল
ডাক দিয়েছে গুরু।
১৯৭১
আবালবৃদ্ধবনিতা কেউ ছিলনা ঘরে
বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ডাকে-
“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”
বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠে হুঙ্কার উঠেছিল
রক্তের বিনিময়ে হলেও দেশকে স্বাধীন করব।
এই প্রত্যয় বৃথা যেতে দেয়নি
বঙ্গবন্ধুর গড়া স্বাধীন দেশে, বাস করে বাঙালি।
নন্দিনী লুইজা
বর্ণ প্রকাশ লিমিটেড
১৭/০৩/২০২২