বডি ম্যাসেজ উপভোগ করেন না এমন লোক খুঁজিয়া পাওয়া কঠিন।
বেশ কিছুদিন হইতেই ইচ্ছা হইয়াছে পার্লারে বডি ম্যাসেজ করাইবার। এই ইচ্ছা আমার মেয়েরাও জানে। তাহারই ফলশ্রুতিতে আমার মেজ মেয়ে আজকে সেই ইচ্ছা পুরন করিয়াছে।
নিউইয়র্ক আসিবার আগেই আমি জানিতাম যে জীবনে প্রথম এই অভিজ্ঞতা আস্বাদন করিব।সেই মোতাবেক অনেক ভাবনা চিন্তা মনের মধ্যে ঘুরপাক খাইতেছিল। প্রথম চিন্তা ছিল কোন পুরুষ ম্যাসেজ করিবে নাকি কোন মহিলা? দ্বিতীয়টি আমাকে কি উলঙ্গ করিয়া ফেলিবে? অবশ্য একবার জাপানের ওসাকায় এক হোটেলে সম্পূর্ন উলঙ্গ হইয়া স্নান করিবার অভিজ্ঞতা ঝুলিতে রহিয়াছে। মনে পড়ে একদিন রমনা পার্কে এক যুবক আসিয়া ম্যাসেজ করিয়া দিতে চাহিলে ভয়ে ভয়ে রাজী হইয়াছিলাম। সে আমাকে বেন্চে শোয়াইয়া পায়ের নীচের দিক হইতে ম্যাসেজ করিতে করিতে উপর দিকে অগ্রসর হইতে থাকিলে একসময় তাহাকে না থামাইয়া পারি নাই। এবারেও কি তাহাই ঘটিবে? যাহাই হউক আমি প্রস্তুত।
আমাকে একটি কক্ষে নিয়া কাপড় খুলিয়া একটি টেবিলে উপুর হইয়া শুইতে বলিল। আমি বলিলাম প্যান্টও খুলিব? না সূচক জবাবে টেনশন কমিয়া গেল। টেবিলের একদিকে উপুর হইয়া মুখমন্ডল রাখিবার স্থান দেখাইয়া দরজা বন্ধ করিয়া চলিয়া গেল।
আমি উপুর হইয়া শুইয়া পড়িলাম।কিছু দেখিতে পাইতেছি না। একসময় মনে হইল কোন একজনের আগমন ঘটিয়াছে। কন্ঠস্বরে বুঝিলাম তিনি একজন নারী। জীবনে নুতন অভিজ্ঞতার জন্য আমি তৈরী।
আমার ভাবনা চিন্তাকে ধুলায় মিশাইয়া দিয়া তিনি ম্যাসেজ করিতে লাগিলেন। আমি কয়েকবার তাহাকে বলিতে বাধ্য হইয়াছি ,’ I feel pain’. বিপরীতে বাংলাদেশে নরসুন্দরের ৭/৮ মিনিটের ম্যাসেজের আরামের অনুভূতি মনে উদয় হইতে লাগিল। অর্ধ ঘন্টা শেষে এলার্ম বাজিয়া উঠিল বলিয়া মনে হইল। সাথে সাথে যন্ত্রবৎ ম্যাসেজ থামিয়া গেল। কিছু একটি দিয়া পিঠ মুছাইয়া দিয়া বলিলেন উঠিয়া পড়েন।বাহির হইয়া প্রদত্ত ডলারের সাথে নব্বই দিয়া পুরন করিয়া বেদনাহত হৃদয়ে প্রস্থান করিলাম।
পরে বন্ধুরা বলিয়াছে আমি নাকি সঠিক জায়গায় যাইতে পারি নাই!!!