আমি আর নিস্তব্ধতা
দুজন পাশা পাশি বসে
দুজনেই চুপ
তবুও যেন মনে মনে কথা হচ্ছে
আওয়াজ বিহীন কথা
শুনছি দুজনে মনে মনে
প্রকাশের শব্দ তুলে নয়
অজান্তে ফিসফিসিয়ে…
তাকিয়ে রই দূর পানে
নদীর কলতানে দুই কুল যেন বিমোহিত
তাদের নেই কোনো দুঃখ
নেই কোনো শূন্যতা
আছে শুধুই পাড়ের সাথে
ভাঙা গড়ার করুন খেলা…
এ তো দেখি আমার চেয়েও বেশি দুঃখের মেলা…
অজান্তেই হাসি নিস্তব্ধতা কে পাশে রেখে।
দীর্ঘশ্বাসে আবার বুক ভরিয়ে ফেলি
নিস্তব্ধতা কে বলি,কথা বলতে
তার নিস্তব্ধ হওয়ার কারন শুনতে চাই
কিন্তু সে তো বোবা তার মুখে কথা নাই
তাহলে কি জানা হবে না এর কারন
নাকি শুধুই আমাকে বলতে বারন
তার নিস্তব্ধতার কারন…..।
আমিও চুপ রয়ে যাই
নিশ্চুপ শিহরনে কালো ছাঁয়া দেখতে পাই
হঠ্যৎ পাশ ফিরে তাকাই
কিন্তু কই, কেউ তো আমার পাশে নাই
তাহলে আমি অজান্তেই কাকে দেখতে পাই
নাকি নিস্তব্ধতার নীল আত্মার
ব্যথার উড়ন্ত মনের কল্পনার পোড়া ছাই….।
আমিও আজ নিস্তব্ধতার পাশেই রয়েছি
আমিও আজ বেঁচে থেকেও ছাই হয়ে গেছি
অস্তিত্বহীন নির্বাক এক জীবন্ত পাখি
শূন্যতা,একাকিত্ব,নিস্তব্ধতার সাথি হয়ে
রয়ে যাবো হয়তো একলা ভুবনে তাদের হয়ে
থাকবো পরে একা শূন্যতা কে নিয়ে
নিস্তব্ধতার শহরে
যেখানে আমি একাই জেগে রবো
প্রতি প্রহরে প্রহরে…..