হায়রে আমার দুঃখিনী বর্ণমালা
তোমায় নিয়ে লিখবো বলে আমি,
বুকের মধ্যে কেবলি লুকিয়ে রাখি
আরণ্যকের দু’বিঘে আবাদি জমি।
অনিশ্চিতের ঘর বেঁধেছি তাই
সেই জমিতে বাসা বেঁধেছে সাপ,
ফিরতি স্টেশন ধরবো বলে আমি
হৃদয়ে মোর শোকের মনস্তাপ।
ব র ক ত সা লা ম র ফি ক
বটমুলে রমনার ঐ গোলাপ ফোঁটানো দিনে
রক্তে ভেজা খোকার জামায় আমার রক্ত ঋনে,
কত দিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা বহমান?
তথৈবচ বিস্মৃতির ঐ বিনাশী রক্তবান?
পদ্মামেঘনাযমুনা’র ঐ অকুল ব্যাকুল তীরে
লাল সবুজের বাংলার ঐ বিস্তির্ণ প্রান্তরে,
ফিকে হওয়া গোধূলির ঐ বিষন্ন বিদায়
করজোড়ে ভিক্ষে মাগে কি যেন বলিতে চায়!
”আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো
একুশে ফেব্রুয়ারি,
আমি কি ভুলিতে পারি?’
আহা রে বর্ণমালা,
দুঃখিনী বর্ণমালা।
আরণ্যক শামছ
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২