Select Page

কাকতাড়ুয়া

কাকতাড়ুয়া

হয়তো সে আসে পীতাভ সন্ধ্যায় কোনো
ভেজা চুলে ভেজা মেঘের টুপটাপ
অতল জলের রাশি ফুলে ওঠে স্ফীত
যেন দুটো সমান নিখুঁত বুদবুদ পাশাপাশি,
এলোমেলো দিন যায় সীমানা পেরিয়ে
সীমান্তের ওপার থেকে যেমন উড়ে আসে
পরিযায়ী পাখি তেমনি ছিপছিপে যুবতী ঝর্ণা ধারা
পাহাড় পাথর টপকে নেমে আসে রমনিও সৌন্দর্য্যে,
পাথরে ক্ষীণ স্রোতের দাগ, বাইরে কৃষ্ণপক্ষের রাত
তার হয়তো ঘুম আসে না
কনুই ভাঁজ করে ঢেকে রেখে চোখ
পায়ের ওপর পা ডানে বাঁয়ে নাড়ালেই
রিনঝিন বেজে ওঠে রুপোর নুপুর
বাঁ হাতটা পেটের ওপর,
তার কানে আসে ঝিঁঝি পোকাদের গান
তার উৎকর্ণ দুই কান চিনতে চেষ্টা করে
সিঁড়িতে কেউ এলো কিনা !
যার আসবার কথা ছিল সে অপেক্ষা করে করে
এখন নিশিকান্তপুরের চশমখোর মহাজনের
ক্ষেতের কাকতাড়ুয়া, রোদে, জলে, বৃষ্টিতে একলাটি ঠাঁয়
এরকম শ্রীহীন পোকায় কাটা শার্ট
মাথার জায়গায় কালো হাঁড়ি
আর একটা মোটে পা, খড়ের দুটো দুর্বল হাত
পাখিরা ভয় পাবে কি
সার্কাস ভেবে হাতে বসে কিংবা উড়তে উড়তে
ফেলে দিয়ে যায় ঘৃণার পুরিশ! অকল্পনীয় অব্যার্থ নিশানায়
কুট কচালি করা সব, তবুও সে এলো
এলো এমন ভাবেই এলো যে
প্রবল বৃষ্টি এসে ধুয়ে দিলো বিষ্ঠার দাগ
যেন ওরা ছিলো কিছু অতি কুটিল মানুষের
মিথ্যে অভিযোগ, গুন্ গুন্ করে গাইতে গাইতে
সে এলো, ওই যে অদূরে বাড়িটির খোলা জানালার পেছনে
নিথর রাতের ঝড়ে আরও একলা হয়ে গেলো!
আরও নিবিড় হলো সেই দেখা ক্ষনিকের
সেই জানা বারেকের !
পলকহীন চোখে তাকিয়ে থাকে কাকতাড়ুয়া
এমন নিখুঁত, নিটোল, প্রিয়দর্শিনীর
না ঘুমোনো রাতের ইতিহাস তার মতো করে
আর কেউ জানেনা !

About The Author

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *