সংসার একটা চক্রব্যূহ
যেখানে আনন্দের সাথে
অনেক স্বপ্ন নিয়ে, আকাংখা নিয়ে
ঢোকা তো যায়,কিন্তু চাইলে ও সেই
মায়াজাল ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়া হয়না!
প্রায় ই অভিমানে অনুযোগে বেরিয়ে পড়তে
বড্ড ইচ্ছে হয়
তারপর পর ই ভাবনায় আসে প্রিয়জনদের মুখ
সুখ-সুবিধা, হাজারো মায়া কাজ করে তাদের জন্য!
স্বামী একলা হয়ে যাবেন,সময় মতো নাস্তা,ওষুধ কে
দিবে, সকাল বেলায় চা’টা একা করে খাবেন!
বড়ো বাবু শুকনো রুটি খেতে পারেনা,গলায়
আটকায়,তাই ওর জন্য ডিমের কুসুম আস্ত থাকবে
সাথে আলুর দম,বা ছোলার ডাল সাথে একটু সুজির নরম পায়েস,ওটা শুধু মা ই পারেন!
ছোটো জনের নাস্তার বালাই নাই,
যা দিবা তা ই খায়,কিন্তু কুসুম গালিয়ে ডিমটা কড়া
করে ভাজি,কতক্ষণ পরপর একটা বিশেষ নামে
মা তাকে ডাকতে হবে।
ভুলে গেলে ই এসে বায়না ধরে, আমাকে বু…ল..বল!
দুদিন কোথাও যাব,উনি যাবেন না তাই দোটানায়
শান্তি মতো বেড়ানো হয়না।
আর যদি যাওয়াও হয় তবে ফিরলে কত অভিযোগ
তুমি ছিলে না এই হয়েছে ঐ হয়েছে..
এরপর আর কোথাও কি বেরোতে ইচ্ছে হয়!
যদি ও জানি একজনের না থাকাতে কারো কিছু
যায় আসে না।
থেমে থাকেনা সংসারের কোন কিছুই!
মেয়েরা অন্যের সংসারটা নিজের মনে করেই করে
চলে বছরের পর বছর!
তারপরও বারবার ই মন চলে যায় অন্য কোথাও
বলে যায় এতো তোর নয়, ছিলো না কখনো ও!
ফাতেমা_হোসেন
২৮/১/২২