অনন্ত নক্ষত্রে, মেঘবালিকা!

Photo of author

By Kamruzzaman Khokon

আমার বুকের ছয়টি রিপ এক এক করে কেঁটে ফেললো!
অসম্ভব ধারালো ইলেকট্রিক করাত দিয়ে।
বুকটা দুইহাতে ফাঁক করে,
ডাক্তার বাবু বের করে আনলেন,
যেখানে তোঁকে আজন্ম লালন করেছি!

ডাক্তার হৃদয় দেখে,
মুঁচকি হেসে বললো
আহারে প্রায় চল্লিশ বছর যত্ন হয় না!
আয় তোর হৃদয়টা সাঁজিয়ে দেই
ফুলে, ফলে একাকার করে,
তোর প্রাণেশ্বরীর জন্যে।

কী বিচ্ছিরি তোর হত দরিদ্র হৃদয়?
যেখানে দুটোতে ব্লক শতভাগ,
একটায় পঁচানব্বই
অন্যটা আর না কই!
তোর সমস্ত ভালোবাসার প্রজাপতিরা
আজ দিকভ্রান্ত !
আড়াই ঘন্টা ধরে চললো,
পথ পরিস্কারের নামে,
যমে দূতের লড়াই !

একটানা বাহাত্তর ঘন্টা
চোখ থেকে ঝড়েছে পানি,
চোখের জলে নদী হয়,
গল্পে পড়লেও
সেদিন নিজেই হলাম,
খাল কাটার শ্রমিক !!

জানিস? মৃত্যুর মুখোমুখি,
লাইফলাইনে দাঁড়িয়ে
একবারের জন্যেও তুই
মনের আড়ালে জাসনি!
আমি জীবন মরনের মাঝামাঝি
অপার্থিব দুনিয়াতে তোকে
নিয়ে লিখেছি হাজারো কবিতা।
স্মৃতিবিচ্ছুরিত না হলে,
তোকে শোনাবো সেই মর্মময়ী
আমার প্রাণেরশ্বরীর গল্পগাঁথা!

মরনেও কোন ভয় ছিলো না,
ক্যানোনা, শেষবারের মতো হলেও
তোর চাঁদমুখটা আমার বুকের গভীরে
হৃদয়ে বেঁধে নিয়েছিলাম।

কামরুজ্জামামান খোকন
ল্যাবএইড
ঢাকা,১০.০৬.২০২১