neel shari

তুমি অবাক হলে!
বিশ্বাস কর দমবন্ধ হয়ে আসে,
আজকাল আগের মত প্রাণে নেই সাড়া।
চিরচেনা জগতটা হয়ে গেছে এলোমেলো কবে!
এখন চাই নিজের জন্য, কেবল নিজেরই জন্য
নিজের মত করে কিছুটা সময়।

এতটা অবাক হওয়ার কী আছে!
ভাবছ আমি বুঝি খুব স্বার্থপর!
যখন আমার দু’আঙ্গুলের ফাঁকে
ক্ষত হয়, জ্বলন্ত আগুনে কখনও হাত পোড়ে,
ঘেমে নেয়ে একশা হয়ে মাথাব্যথায় কাতরাই একা
কিংবা জ্বরের ঘোরে কাঁপতে কাঁপতে
শীতল পানিতে ঘরকন্না করি
কই তখন তো অবাক হও না!

আমার ছুটি চাই, বুঝলে! ছুটি চাই আমার।
এই এখানে সবাই অতিথি,
সবাইকে দেখভাল আমাকেই করতে হয়,
আমার চুলগুলো একসময় ভারী সুন্দর ছিল,
এখন তো মাথা আঁচড়ে নেওয়ারও অবসর নেই,
কাকস্নান সেরে কোনমতে দুটো গিলে
আবার সেই ঘানি টানা।

চোখের নীচে কালি, কাজলের নয়
কতদিন কাজল দিইনি চোখে,
তোমারও দেখার ফুরসত নেই।
নেতিয়ে পড়া ফুলটির মত নীরস হাহাকার,
আর্তনাদে কেঁপে ওঠে আত্মা।
এবার নিজেকে দেখি কেবলই প্রাণহীন অবয়ব যেন,
আমার কিছুটা দিন ছুটি চাই,
নিজেকে ভালবেসে ফিরে পেতে
ছুটি চাই আমার।

আমি নীল শাড়ি পরে, কাজল এঁকে চোখে
আকাশের সাদা সাদা মেঘের খেলা দেখব,
আর দেখতে চাই, চিনে নিতে পারো কি না
সেই আমাকে।

রুবি বিনতে মনোয়ার